• দণ্ডসংহিতা চালাতে সঠিক পরিকাঠামো, প্রশিক্ষণও চান CJI
    এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়: ১ জুলাই থেকে বদলে যাচ্ছে তিন ফৌজদারি আইন। পুরনো কার্যবিধি, দণ্ডবিধি, এভিডেন্স অ্যাক্টের বদলে নতুন নাগরিক সুরক্ষাসংহিতা, ন্যায়সংহিতা, সাক্ষ্য অধিনিয়ম চালু হতে চলেছে। সেই বদলের মাস দু'য়েক আগে এই পরিবর্তন ধারণ করার মতো পরিকাঠামো বিচারব্যবস্থায় তৈরি হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। যে কোনও ফৌজদারি মামলার বিচার তিন বছরে শেষ করার যে কথা বলা হয়েছে নাগরিক সুরক্ষাসংহিতায়, বিশেষত সেই বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েও সিজেআইয়ের বক্তব্য, 'মামলার দ্রুত বিচারের লক্ষ্যপূরণে সব স্তরের আদালতে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো থাকা জরুরি।'নতুন আইন প্রণয়নকে দেশের পক্ষে 'সন্ধিক্ষণ' বলে বর্ণনা করে সিজেআই বলেন, 'এই বদল দেশের সামগ্রিক বদলের ইঙ্গিত। আগে অপরাধের বিষয়টিই আইন ও বিচারব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় বিবেচ্য ছিল। অপরাধের শিকার যে বা যাঁরা, তাঁদের কথা আইন ও বিচারে গৌন থেকে যেত। বিভিন্ন অপরাধ বিষয়ে পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতায় পরিবর্তনের পথ খোঁজাও জরুরি ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণে বিলম্ব, জেলখানায় উপচে পড়া ভিড়ের সমস্যা সমাধানের কথাও ভাবা জরুরি।' নাগরিক সুরক্ষাসংহিতায় সাক্ষ্যগ্রহণ-সহ কোর্টের কাজকর্মে বৈদ্যুতিন পদ্ধতি অবলম্বনে জোরের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, অভিযুক্ত এবং সাক্ষীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব যাতে না-হয়, তা-ও সুনিশ্চিত করতে হবে। নতুন ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হতে তদন্তকারীদের প্রশিক্ষণ এবং আদালতের পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেন প্রধান বিচারপতি। সেই সূত্রেই তিন বছরে বিচার শেষের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'দ্রুত বিচারের জন্য জরুরি উপযুক্ত পরিকাঠামো। পুলিশে এবং ফরেন্সিক পরীক্ষার পরিকাঠামোয় উন্নতি প্রয়োজন। নতুন আইনের প্রয়োগে ন্যায়বিচারের আদর্শ ও নাগরিক অধিকারের ভাবনা সুরক্ষিত হওয়াও জরুরি। প্রয়োজন প্রশিক্ষণের।' বস্তুত নতুন তিন আইন নিয়ে বোঝাপড়ার লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় আইন ও বিচারমন্ত্রক শনিবার সারাদিনব্যাপী আলোচনার আয়োজন করেছিল। সেখানে আটর্নি জেনারেল, সলিসিটর জেনারেল, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিবও বক্তব্য রাখেন।

    উল্লেখ্য, গত বছর ২১ ডিসেম্বর সংসদে পাশ হওয়ার পর ২৫ ডিসেম্বর ৩ ফৌজদারি আইনকে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অনুমোদন দেন। নয়া আইনে সন্ত্রাসবাদ, দেশদ্রোহিতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি, প্রযুক্তি নির্ভর ভারতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নয়া ৩ ফৌজদারি আইন আনা হয়েছে। এখানে চালু হচ্ছে কম্পিউটার কেন্দ্রিক এফআইআর গ্রহণের ব্যবস্থা। পাশাপাশি এই আইনে ধর্ষণ বা গণপিটুনির মতো একাধিক ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)