Rajasthan Jain Temple: গগনচুম্বী উচ্চতা-৭২০ মূর্তি! ৫৫০-একর জায়গায় মাথা তোলার অপেক্ষায় প্রথম স্তম্ভবিহীন জৈন মন্দির
এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
রাম মন্দির উদ্বোধন হয়েছে চলছি বছরের ২২ এপ্রিল। এবার তৈরি হতে চলেছে দেশের প্রথম জৈন মন্দির, যেখানে একটি স্তম্ভবিহীন গুহা মন্দিরও থাকবে। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত গম্বুজ আকৃতির গুহা মন্দিরটি ৯০ ফুট চওড়া এবং ১৩৫ ফুট লম্বা হবে। এই মন্দিরটি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে লাল পাথর। প্রায় সাড়ে পাঁচশ একর ক্যাম্পাসে জৈন ধর্ম সম্পর্কিত অনেক মন্দির ও মূর্তিও থাকবে। মহাবীর জয়ন্তীর দিনে জেনে নেওয়া যাক আজমিরের জ্ঞানোদয় তীর্থস্থান নরেলির নির্মীয়মান এই মন্দিরের কথা।নরেলি তীর্থক্ষেত্র কমিটির কোষাধ্যক্ষ মিশ্রীলাল জৈন জানান, দেড়শো মিটার উঁচু পাহাড়ের পাদদেশে নির্মিত এই বহুমুখী এলাকাটি প্রায় সাড়ে পাঁচশ বিঘা জমি জুড়ে বিস্তৃত। নাসিরাবাদে (আজমীর) জ্ঞান সাগর মহারাজের সমাধি। আজমীর হল সাধক শিরোমণি পূজ্য আচার্য ১০৮ বিদ্যাসাগরজীর দীক্ষা স্থান। উভয় মহান আদর্শ সাধকের সাফল্যের গল্পকে চিরস্থায়ী করার জন্য 'জ্ঞানোদয় তীর্থ' নির্মিত হয়েছিল।
এই ক্যাম্পাসে একটি ১১ তলা মন্দিরও তৈরি করা হচ্ছে। এর কাজও প্রায় শেষের পথে। এখানে, আদিনাথ থেকে মহাবীর স্বামী পর্যন্ত ২৪ জন তীর্থঙ্করের ৩টি করে মূর্তি স্থাপন করা হবে। প্রতি তলায় তীর্থঙ্করের ৭২টি মূর্তি এবং ১০টি তলায় ৭২০টি মূর্তি স্থাপন করা হবে। ভক্তদের থাকার জন্য ঘর, স্কুল, হাসপাতাল ছাড়াও তৈরি করা হয়েছে ধর্মশালা।
প্রবেশ পথে লাল পাথর দিয়ে তৈরি সিংহ দুয়ার
নরেলি তীর্থে প্রবেশের সময় লাল পাথরের তৈরি একটি সিংহ দুয়ার চোখে পড়বে। এর উচ্চতা ৫১ ফুট। দুই পাশে নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য দুই তলা কক্ষ রয়েছে। এই গেট থেকে এলাকার প্রধান মন্দির আদিনাথ জিনালয়ে স্থাপিত আদিনাথের বিশাল ও সুন্দর মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়। এটি ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০ সালে আর. K. Marble পরিবার কিষাণগড় এটা করেছে।
আদিনাথ জিনলায় নির্মিত 'জ্ঞানসাগর অডিটোরিয়াম'
পাহাড়ের পাদদেশে অক্ষরধামের আদলে গড়ে উঠেছে আদিনাথ জিনালয়। মন্দিরটি বিশাল এবং শৈল্পিক। ফোয়ারা, বাগান, ধর্মভিত্তিক শিল্পকর্ম ইত্যাদি এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এর নিচতলায় বৃত্তাকারে 'জ্ঞানসাগর অডিটোরিয়াম' রয়েছে। চারদিকে দরজা আছে। এটি প্রশস্ত এবং বাতাসযুক্ত। মাঝখানে একটি চমৎকার মঞ্চ রয়েছে।
দ্বিতীয় তলায় রয়েছে বিশাল মন্দির। হল ঘরের মতো মন্দিরে লাল পাথরের তৈরি একটি বিশাল মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। মূর্তিটি লাল পাথরের তৈরি পদ্মাসনে পদ্মাসনে উপবিষ্ট। মূর্তিটি একটি পাথর দিয়ে তৈরি, যার উচ্চতা ২১ ফুট এবং ওজন প্রায় ৪০ মেট্রিক টন। সুধাসাগরজি মহারাজের উপস্থিতিতে ১১ আগস্ট, ১৯৯৭ সালে আরকে মার্বেল পরিবার এই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল।