• Bombay High Court: যৌনতায় সক্ষম হলেও স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম স্বামী! ডিভোর্সের আবেদন মঞ্জুর বম্বে হাইকোর্টের
    এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
  • বিয়ের বয়স মাত্র ১৭দিন। তবে বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতি দিল আদালত। কারণ স্বামীর 'আপেক্ষির শারীরিক অক্ষমতা'। স্বামীর 'আপেক্ষিক শারীরিক অক্ষমতার' কারণে আদাবত দম্পতিকে বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছে। ওই দম্পতি আইনি ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদর অনুমতি জানিয়েছিলেন আদালতে। পারিবারিক আদালতে দম্পতির আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দম্পতি বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানে তাঁদের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।বম্বে হাইকোর্টের ঔড়ঙ্গাবাদ বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, 'স্বামীর আপেক্ষিক শারীরিক অক্ষমতার কারণে স্ত্রী যে হতাশায় ভুগছেন তা অগ্রাহ্য করা যায় না। একজনের শারীরিক সমস্যা দু'জনকেই শারীরিক ও মানসিক ভাবে ভোগাচ্ছে। এই রকম বিয়ের সম্পর্ক রাখার কোনও অর্থ হয় না।' আদালতে ২৭ বছরের তরুণী জানিয়েছিলেন স্ত্রীয়েও তাঁর স্বামীর আপেক্ষিক শারীরিক অক্ষমতার কারণে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেননি। এতে তাঁদের দু'জনেরই মানসিক দিকেও প্রভাব পড়ছে। সেই কারণে দম্পতির বৈবাহিক শান্তিও বিঘ্নিত হয়েছে।

    আপেক্ষিক শারীরিক অক্ষমতা কী?

    কেউ যখন যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও নিজের বৈবাহিক সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হতে পারেন না তখন সেই সমস্যাকে বলে আপেক্ষিক শারীরিক অক্ষমতা।

    বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি বিভা কঙ্কনওয়ারি ও বিচারপতি এসজি চপলগাওঁকরের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, 'আপেক্ষিক শারীরিক অক্ষমতা অনেকটাই আলাদ সাধারণ শারীরিক অক্ষমতার চেয়ে। এই ধরনের সমস্যার পিছনে থাকতে পারে একাধিক শারীরিক ও মানসিক কারণও। এই মামলায় স্ত্রীয়ের প্রতি তাঁর স্বামীর যে অক্ষমতা রয়েছে সেই বিষয়ে সন্দেহ নেই। সেই কারণে তাঁদের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছে। এই সমস্যা অগ্রাহ্য করা যায় না।

    আদালতের আরও পর্যেবক্ষণ, প্রথমে নিজের অক্ষমতা স্ত্রীয়ের প্রতি প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করতে ইতস্তত করছিলেন যুবক। সেই কারণে প্রাথমিক ভাবে স্ত্রীকেও দায়ী করছিলেন বিবাহে অসম্পূর্ণতার জন্য। পরে আদালতের কাছে নিজের খামতির কথা স্বীকার করেন যুবক।

    দম্পতির বিয়ের হয়েছিল ২০২৩ সালের মার্চ মাসে। ১৭ দিন পরে আলাদা হয়ে যান তাঁরা। যুবতীর দাবি, স্বামী তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরিতে অস্বীকার করেছেন। পারিবারিক আদালতে এই কারণ দেখিয়েই বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন তিনি। বম্বে হাইকোর্ট তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেছে।

    অপর দিকে যৌন নির্যাতনের পর অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার গর্ভপাত সম্ভব? শুধু তাই নয়, ওই নাবালিকার গর্ভধারণের সময় ২৮ সপ্তাহ অর্থাৎ প্রসবের সময় দূরে নেই। এই পরিস্থিতিতে ১৪ বছর বয়সি নাবালিকার গর্ভপাত করা উচিত কিনা, সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি ওই নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক ভাবে ভালো থাকার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা জরুরি।
  • Link to this news (এই সময়)