৪৫ ডিগ্রিতেও স্কুলে গরমের ছুটি নয় এই রাজ্যে! সোমবার থেকে বদলাচ্ছে ক্লাসের সময়
এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
তাপপ্রবাহে পুড়ছে গোটা দেশ। শনিবার দেশের মধ্যে সবচেয়ে সর্বাধিক তাপমাত্রায় যে রাজ্যেগুলি রেকর্ড গড়েছে, ঝাড়খণ্ড তার মধ্যে প্রথমের দিকে। সে রাজ্যের ডালটনগঞ্জ এলাকায় তাপমাত্রার পারদ পৌঁছে গিয়েছিল ৪৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতেও স্কুলে ছুটি মিলছে না শিশুদের। তৈরি হয়েছে ক্ষোভ, অসন্তোষ।বদলে গেল স্কুলের সময়গরমের ছুটি এগিয়ে আনার বদলে এক বিকল্প ব্যবস্থা করেছে সোরেন সরকার। বদলে দেওয়া হয়েছে স্কুলের সময়। সরকার জানিয়েছে, সোমবার থেকে সব স্কুলে সকাল ৭টা থেকে ক্লাস শুরু হবে। অর্থাৎ দুপুরে ভয়ংকর লু পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে সকাল সকাল পড়ুয়াদের স্কুলে আনতে উদ্যোগ নিয়ে প্রশাসন। দুপুরে খাঁ খাঁ রোদে যেন কোনও ছাত্রছাত্রীকে গলদঘর্ম হয়ে স্কুলে যেতে না হয় তাই সরকারের তরফে সময় বদলে এই বিকল্প ব্যবস্থা। পরবর্তী নির্দেশিকা ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত সোমবার থেকে এই ব্যবস্থাই বহাল থাকবে ঝাড়খণ্ডে।
শনিবার ঝাড়খণ্ডের শিক্ষা দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে,২২ এপ্রিল থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে প্রাইমারি বিভাগের ক্লাস হবে সকাল ৭টা থেকে থেকে ১১টা পর্যন্ত। নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই বন্দোবস্ত। এ ছাড়া, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস চলবে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত। ঝাড়খণ্ডের সব সরকারি, সরকার অনুমোদিত এবং বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর।
পাশাপাশি, ঝাড়খণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, রোদের মধ্যে স্কুলের কোনও কর্মসূচি যেমন প্রার্থনা, ধেলাধূলা খোলা আকাশের নীচে করা যাবে না। স্কুলের সিলেবাস সংক্রান্ত কোনও ক্ষতি হবে না বলেই আশ্বস্ত করেছে শিক্ষা দফতর। পাশাপাশি, মিড ডে মিলও চলবে আগের নিয়ম মাফিক।
আবহাওয়ার আপডেট বলছে, সোমবার পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডে চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে। বইবে ভয়ংকর লু। ১৫টি জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে মৌসব ভবন। তাপমাত্রাও ৪০ ডিগ্রির ঘর থেকে নামার নামগন্ধ নেই। ৪২ থেকে ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যেতে পারে বিভিন্ন জেলার তাপমাত্রা।
কোন কোন রাজ্যে স্কুল ছুটি?তবে ঝাড়খণ্ড না করলেও বাংলায় কিন্তু, গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে। সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ে যাচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশিকা না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধই থাকবে স্কুল। একই সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্র সরকারেরও। সেখানেও সমস্ত স্কুলে সোমবার থেকেই গরমের ছুটি। যদিও শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের স্কুল যেতেই হচ্ছে। তাঁরা আগামী ২ মে থেকে ছুটি উপভোগ করতে পারবেন। প্রবল তাপপ্রবাহের কারণে আগাম ছুটি চেয়েছিলেন শিক্ষকরা। এমনকী, ওয়ার্ক ফ্রম হোমেরও দাবি তোলা হয়েছিল। তবে কর্ণপাত করেনি মহারাষ্ট্র সরকার। গরমের ছুটি এগিয়ে এলেও স্কুলে যেতেই হবে শিক্ষকদের।