গান গাইলেন দেবাশিস, প্রচারে শতাব্দীও! বীরভূমের 'এক্স ফ্যাক্টর' অনুব্রতই?
এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
কেষ্ট না থেকেও যেন রয়েছেন ছত্রে ছত্রে! বীরভূমে অনুব্রত ফ্যাক্টর নিয়ে জোর চর্চা। যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা সেই নেতা কিন্তু রয়েছেন সুদূর তিহাড় সংশোধনাগারে। গোরু পাচার মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। এরপর বঙ্গ রাজনৈতির জল অনেক দূর পর্যন্ত গড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু, কেষ্ট নাম বীরভূমের ভোট বাজারের আনাচে কানাচে। বীরভূম এবং বোলপুর-এই দুই কেন্দ্র বরাবর তৃণমূলের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি। বীরভূম কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস আরও একবার প্রার্থী করেছেন শতাব্দী রায়কে।অন্যদিকে, পুলিশের চাকরি ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন প্রাক্তন IPS দেবাশিস ধর। শতাব্দীর বিরুদ্ধে প্রার্থী তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর নাম একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে। রামনবমির মিছিলে অস্ত্র সংক্রান্ত বিতর্কেও জড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, এবার মাইক হাতে তুলে নিলেন দেবাশিস। শনিবার রামপুরহাট সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় ছিল বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের প্রচার অভিযান। আর সেই প্রচারে বেরিয়েই শনিবার হাঁসন বিধানসভার তারাপুর দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গনে মঞ্চে উঠে গান গাইলেন বীরভূম লোকসভার প্রার্থী।
এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই নিয়ে নানা মুনির নানা মতামত। অনেকেরই তীব্র কটাক্ষ, ভোট বড় বালাই। ভোটের জন্য কেউ রোগী দেখছেন, কেউ আবার গান করছেন। সব মিলিয়ে এই কয়েক মাস প্রচার ময়দানে একাধিক রঙ্গ দেখা যাচ্ছে।
যদিও বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে এখনও প্রচার ময়দানে একটাই নাম গমগম করছে-অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অনুপস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক লাভ তুলতে মরীয়া বিরোধীরা। তাঁরা চায়ছেন যাতে কোনওভাবে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে বদল আনা যায়। কিন্তু, এখনও বীরভূম জেলাজুড়ে অনুব্রত মণ্ডলই ফ্যাক্টর, স্পষ্ট দাবি রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের।
এদিকে ভোট থেকে দূরে থেকে নাকি ভালো নেই অনুব্রত মণ্ডল। তিনি এই মুহূর্তে রয়েছেন তিহাড় সংশোধনাগারে। সূত্রের খবর, তাঁর নাকি মন ভালো নেই। সংশোধনাগার যাপনের সময় তাঁর পুরনো কথা বারবার মনে পড়ছে যখন তিনি ভোটের সময় বীরভূমের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত চষে বেড়াতেন।
২০২২-এর ১১ অগাস্ট CBI-এর হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। এরপর তাঁকে হেফাজতে নেয় ED। এই মামলাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও। আপাতত জামিনের জন্য আইনি লড়াই লড়ে যাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অনুপস্থিতিতে বীরভূমের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আদৌ কোনও বদল আসে কিনা, এখন সব নজর সেই দিকে।