Sikkim Train : সিকিমে ট্রেন পরিষেবা শুরু নিয়ে বড় আপডেট, রেললাইন তৈরির সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ সম্পন্ন
এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
দেশে প্রথমবারের জন্য সিকিমে তৈরি হচ্ছে রেল স্টেশন। সেবক-রংপো রেল রুট চালু হবে খুব শীঘ্রই। ইতিমধ্যেই ২০২৫ সালের অগাস্ট মাসকে ডেডলাইন হিসেবে ধার হয়েছে। তার মাঝেই এবার বড় আপডেট।সেবক-রংপো রেল প্রজেক্টে ইতিমধ্যেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৮৫৫ মিটার লম্বা আপৎকালীন সুড়ঙ্গের। যে কোনও এমারজেন্সি পরিস্থিতিতে এই সুড়ঙ্গ পথেই বাইরে বের হওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন ইঞ্জিনিয়াররা।
জানা গিয়েছে, এই ৮৫৫ মিটার লম্বা এক্সিট টানেলের মধ্যে ২০ মিটার গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের নীচ দিয়ে। নবনির্মিত এই সুড়ঙ্গ পথের পাশ দিয়েই বয়ে যাচ্ছে তিস্তা নদী। ফলে এই অংশের মাটি অত্যন্ত নরম এবং ক্ষয়িষ্ণু। এই এলাকায় খননের কাজ করা ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে ছিল সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং। যদি বিন্দুমাত্র ভুলচুক হয়ে খননকার্য ব্যাহত হত তবে রেলপথ তৈরি তো দূর, সিকিমের সঙ্গে গোটা দেশের সড়কপথ যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যেত। তবে সেই ঝুঁকি এড়ানো গিয়েছে।
এই রেল প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা ইরকন ইন্টারন্যাশনালের এক আধিকারিক বলেন, '১০ নম্বর জাতীয় সড়ক একমাত্র রাস্তা যেটি সিকিমকে গোটা দেশের সঙ্গে যুক্ত করে। এই জাতীয় সড়কের ১৮ মিটার নীচ দিয়ে সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করা আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এই অংশের মাটি খুব নরম এবং ভঙ্গুর। একদম নদীর চড়ের মতো, নুড়ি-পাথরে ভর্তি। ফলে ২০ মিটার পথ খনন করার সময় প্রভূত প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছি আমরা। এটাই এই প্রজেক্টের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং মুহূর্ত ছিল। জাতীয় সড়কে এক মিলিমিটারও ক্ষতি না করে এই চ্যালেঞ্জ আমরা পেরিয়ে এসেছি।'
রেল আধিকারিকরা জানাচ্ছেন জাতীয় সড়কের নীচে সুড়ঙ্গ খনন করতে ব্যবহার করা হয় সিক্যান্ট-পাইলিং পদ্ধতি। যা সাধারণত ব্যবহৃত হয় না। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অনুমোদন পাওয়ার পরই এই পদ্ধতির ব্যবহার হয় সিকিমের রেললাইন নির্মাণের পথে সুড়ঙ্গ খুঁড়তে।
এই রেল প্রজেক্টের এক আধিকারিক বলেন, 'সেবক-রংপো রেল রুটে মোট ১৪টি সুড়ঙ্গ পড়বে, ২২টি সেতু থাকবে। এর মধ্যে খনন কাজ হয়েছে ১০টি সুড়ঙ্গের। তার মধ্যে আবার চারটিতে লাইন পাতার কাজও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এই প্রজেক্টের সবচেয়ে দীর্ঘ টানেলটি ৫৩৮ মিটারের অর্থাৎ ৫.৩ কিলোমিটার পর্যন্ত। পাশাপাশি ১৩টি বড় সেতুর মধ্যে ১২টির পরিকাঠামো তৈরি। সর্বোচ্চ উচ্চতার ব্রিজটি ৮৫ মিটারের। এটি ১৭ নম্বর ব্রিজ। সিকিমগামী ট্রেন ৮৬ শতাংশ রাস্তা টানেলের মধ্যে দিয়ে এবং পাঁচ শতাংশ সেতুর উপর দিয়ে যাবে।'