আমেরিকার পর এবার বার্ড ফ্লু কড়া নাড়ছে ভারতেও। কেরালায় বার্ড ফ্লুর ঘটনা সামনে এসেছে। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ আলাপুঝুরাকর দুটি ওয়ার্ডে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে কেলারা জনস্বাস্থ্য আইন, ২০২৩ এর অধীনে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন।এই আইনের অধীনে প়্চায়েত স্তরের কমিটিগুলিকে আলাপ্পুঝার সমস্ত পঞ্চায়েতে অবিলম্বে সভা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, বার্ড ফ্লু প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল এদথুয়া এবং চেরুথানায় প্রায় ২১,০০০ হাঁস মারা হবে। উপরন্তু প্রাদুর্ভাব এলাকার এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সমস্ত পোষা পাখি মারা হবে।
আশেপাশের পঞ্চায়েত এবং পুরসভাগুলি পর্যবেক্ষণের অধীনে রয়েছে এবং জেলা স্তরে নজরদারি করা উচিত এবং রাজ্য স্তরে অগ্রগতি প্রতিবেদনগুলি রিপোর্ট করা উচিত। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব জেলায় ‘এক স্বাস্থ্য’ কমিটিকে শক্তিশালী করার নির্দেশনাো দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন যে বার্ড ফ্লু এখনও রাজ্যে মানুষের উপর কোনও প্রভাব ফেলেনি। তবে ফ্লু যাতে আর বেশি না ছড়ায় তার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এর জন্য সবাইকে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। এই অঞ্চলের লোকেদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। আক্রান্ত এলাকায় জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গগুলি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা কী?এটি একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাল সংক্রমণ যা প্রাথমিকভাবে পাখিদের প্রভাবিত করে। বার্ড ফ্লু মানুষের মধ্যে বিরল, তবে এটি মানুষের গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন?এই রোগটি মুরগি, হাঁস, কোয়েল পাকি, রাজহাঁস, টার্কির মতো পাখিদের প্রভাবিত করতে পারে।
সংক্রামিত পাখি, পাখি পালনকারী, গৃহপালিত পাখির সংস্পর্শে থাকা শিশু, পশুচিকিৎসক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সাতে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে বসবাসকারী ব্যক্তিদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
বার্ড ফ্লুর লক্ষণ কী?
শরীরে তীব্র ব্যথাজ্বরকাশিনিঃশ্বাস নিতে সমস্যাঠান্ডা লাগাশ্লেষ্মার সঙ্গে রক্তপাত
কী কী করা প্রয়োজন?রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা ছাড়াও যারা সন্দেহভাজন বা সংক্রামিত পাখিদের দেখভাল করেন তাদের গ্লাভস এবং মাস্ক পরতে হবে। হাত সাবান দিয়ে ঘনঘন ধুতে হবে। খুব বালো ভাবে রান্না করা ডিম এবং মাংস খেতে হবে। বাড়িতে বা বাড়ির আশেপাশে কোন মৃত বা অসুস্থ পাখি থাকলে পশু কল্যাণ বিভাগ বা স্থানীয় সরকারী বিভাগে রিপোর্ট করতে হবে।