• দশমের রেজাল্ট দেখে অজ্ঞান ছাত্র! ভর্তি ICU-তে, কত নম্বর পেয়েছে পড়ুয়া?
    এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
  • সদ্য প্রকাশ পেয়েছে উত্তরপ্রদেশ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল। পরীক্ষার ফল দেখতে গিয়ে ঘটল কেলেঙ্কারি। নিজের রেজাল্ট দেখে জ্ঞান হারাল ছাত্র।ঘটনাটি ঘটেছে মিরাটে। ওয়েবসাইটে ফল ঘোষণা হওয়ার পর তা দেখতে যায় সক্কলে। তবে নিজের রেজাল্ট দেখেই অজ্ঞান হয়ে যায় মেটার হাইস্কুলের এক ছাত্র। খবরটা শুনে হয়তো ভাবছেন যে এ আর নতুন কী? পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ায় জ্ঞান হারিয়েছে ছাত্রটি। তাহলে বলতে হবে এর সম্পূর্ণ বিপরীতটাই ঘটেছে। কারণ ওই চাত্রটির প্রাপ্ত নম্বর হলো ৯৩.৫ শতাংশ। তাহলে কী কারণে ওই ছাত্র জ্ঞান হারাল তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে আপাতত আইসিইউতে ভর্তি আছে ওই ছাত্র।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গোটা ঘটনাটি ঘটেছে মিরাটের পালামপুর থানা এলাকায়। এখানে বসবাসকারী সুনীল কুমার পোস্ট অফিসে চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করেন। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। ১৬ বছরের ছেলে আনশুল মিরাটের মহর্ষি দয়ানন্দ ইন্টার কলেজের ছাত্র। সম্প্রতি তিনি দশম শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ২০ এপ্রিল ইউি বোর্ডের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, ল্যাপটপে নিজের ফলাফল দেখে আচমকাইজ্ঞান হারান আনশুল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৩.৫ শতাংশ।

    বেশকিছুক্ষণ পরও আনশুলের জ্ঞান না ফেরায় তাকে বাড়ির কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা আনশুলকে আইসিইউতে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। আপাতত আনশুলের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তাঁর মামাতো ভাই পুষ্পেন্দ্র।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই বছর ইউপি বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৯০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পশ করা লোকের সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    তিনি বলেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশের মধ্যশিক্ষা বোর্ডের ১০ তম এবং ১২ তম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সমস্ত শিক্ষার্থী, তাদের পিতামাতা এবং শিক্ষকদের আন্তরিক অভিনন্দন। আপনারা সবাই নতুন উত্তরপ্রদেশের সোনালী ভবিষ্যৎ। এমন কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং ধৈর্যের সাথে আমরা আপনাদের সকলের জীবনের প্রতিটি পরীক্ষায় সাফল্য কামনা করি।’

    সীতাপুরের সীতা বালবিদ্যামন্দির মাহমুদাবাদ ইন্টার কলেজের প্রাচী নিগম ইউপি বোর্ডের উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন। প্রাচী নিগমের প্রাপ্ত নম্বর ৯৮.৫ শতাংশ। ফতেহপুরের মুস্তফাপুর হুসেনগঞ্জের দীপিকা সোনকার ৯৮.৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে এবং চারজন ছাত্র তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)