• গরম থেকে মুক্তি পেতে কাশ্মীর-সিমলায় পাড়ি? ভোটের মধ্যে ট্যুর প্ল্যানের আগে অবশ্যই জানুন এই আপডেট
    এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
  • রাজ্যে রাজ্যে প্রবল গরম। বইছে হিটওয়েভ, চড়ছে পারদ। তাপপ্রবাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত। এমত অবস্থায় গরমের ছুটিতে বরফে ঢাকা কাশ্মীর কিংবা সিমলা বেরিয়ে আসার প্ল্যান করে ফেলেছেন অনেকেই। কারও পছন্দ আবার লাদাখে বাইক রাইড কিংবা কেরালার ব্যাক ওয়াটার্স ভ্রমণও শখের তালিকায় থাকতে পারে। কিন্তু, সেই আশা কার্যত ভেস্তে যেতে পারে রাতারাতি। সৌজন্যে লোকসভা নির্বাচন।পরীক্ষা শেষে গরমের ছুটি কচিকাচাদের। এই সময় সমতলের গরম থেকে বাঁচতে লাদাখ, সিমলা কিংবা কাশ্মীরের পাহাড়ে বেড়ানো মনস্থির করে ফেলেছিলেন অনেকেই। তবে ট্রেনের টিকিট কাটা কিংবা হোটেলে রুম বুকিংয়ের আগে অবশ্যই জেনে নিন এই আপডেট।

    লোকসভা ভোটের জেরে জোর ধাক্কা খেতে চলেছে কাশ্মীর কিংবা কেরালা বেড়ানোর পরিকল্পনা। ইতিমধ্যেই গত ১৯ এপ্রিল শেষ হয়েছে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। এরপর আরও ছয় দফা রয়েছে আগামী ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে, ১ জুন। দ্বিতীয় দফা লোকসভা ভোট রয়েছে কেরালার সবকটি আসনে (২০)। অর্থাৎ কড়াকড়ি গোটা কেরালা জুড়েই। একইসঙ্গে ওই দিন ভোট রয়েছে জম্মুতে, অসমের শিলচর, করিমগঞ্জের মতো এলাকাতেও। ফলে না চাইলেও ভোটের মুখে প্ল্যান পরিবর্তন করতে হবে পর্যটকদের। আবার কাশ্মীর ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকলে জেনে নেওয়া উচিত ৭ মে তৃতীয় দফায় জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ-রাজৌরি এবং ১৩ মে শ্রীনগরে ভোট রয়েছে। ২০ মে ভোট বারমুলায়। এদিকে, আগামী ১ জুন শেষ দফায় ভোট রয়েছে সিমলা, ক্যাংড়াতে। লাদাখে ভোট রয়েছে ২০ মে। ২৫ মে ভোট রয়েছে অন্যতম জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন পুরীতে। ফলে ভোটের মুখে কোনওরকম সমস্যা এড়িয়ে চলতে বেড়ানোর পরিকল্পনা বাতিলই করতে হচ্ছে অধিকাংশকে। আর্থিক ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা করছেন পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরাও।

    সংশ্লিষ্ট ট্যুরিস্ট স্পটগুলিতে ভোটের কয়েকদিন আগে থেকে জোরকদমে প্রচার চালে রাজনৈতিক দলগুলির। তাবড় নেতাদের আনাগোনা লেগে থাকে। ফলে একাধিক রুট পরিবর্তনের নির্দেশিকাও থাকে। অনেকক্ষেত্রেই পর্যটকদের গাড়ি অন্য রাস্তায় ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বেড়াতে গিয়ে এই ঝঞ্ঝাটের সম্মুখীন হতে রাজি নন কোনও পর্যটকই। ভোটের কাজের জন্য গাড়ির সংখ্যা কমতে শুরু করে। গাড়ি ম্যানেজ করতেও পারলেও গন্ডগোলে ফেঁসে যাওয়া আশঙ্কায় পর্যটকরা আর সেভাবে বেড়ানোর আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। আবার ভোটের জন্য ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় মদের দোকানও। ফলে বেড়াতে গিয়ে শুকনো গলায় থাকতে রাজি নন পর্যটকরা। আর এতে পর্যটন ব্যবসা যে মার খেতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ভোট না মেটা পর্যন্ত দেশের কোনও পর্যটন স্থানেই ব্যবসার হাল ফিরবে না বলে মত পর্যটনের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের।
  • Link to this news (এই সময়)