‘প্রতি গ্রামে ২০ জনকে চাকরি’, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি সুভাষের! পাল্টা সরব তৃণমূল
এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
বছরে ২ কোটি চাকরি হবে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দেয় বিরোধীরা। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে আদরে বেকারত্বের হার বেড়েছে বলেই দাবি করা হয় বিরোধীদের তরফে। এবার গ্রামে গ্রামে চাকরি দেওয়ার সেই প্রতিশ্রুতি শোনা গেল বিজেপি প্রার্থীর গলায়। বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী ডঃ সুভাষ সরকার এবার নিজের কেন্দ্রে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেন।নির্বাচনের আগে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিতর্কে জড়ালের বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডঃ সুভাষ সরকার। গতকাল বাঁকুড়া জেলার ধলডাঙা মোড়ের একটি বেসরকারি লজে এটি কর্মসংস্থানের আয়োজন করা হয় একটি সংস্থার তরফ থেকে। সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডঃ সুভাষ সরকার।
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছর বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে অন্তত যাতে কুড়িজন যুবক-যুবতী চাকরি হয়, সেই বিষয়ে আমি সচেষ্ট থাকব।’ এমনিতেই নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সারা দেশে লাগু হয়েছে নির্বাচনী বিধিনিষেধ তারই মাঝে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতরের বিদায়ী প্রতিমন্ত্রী ডঃ সুভাষ সরকারের এই ধরনের মন্তব্য করে নির্বাচনী বিধিলঙ্ঘন করেছে বলে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল।
অসহনীয় গরম, জনগণের সেবায় জল-ছোলা বিলি সুভাষের
বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী জানান, ‘এত চাকরি উনি কোথা থেকে দেবেন? দেশের প্রধানমন্ত্রীই তো এত চাকরি দিতে পারেনি। নির্বাচনের আগে এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায় না৷ তিনি নির্বাচনী বিধিকে ভঙ্গ করেছেন, আমি না করলেও কেউ না কেউ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবে বিষয়টা সম্পর্কে।’
তৃণমূলের বক্তব্য, এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখেও এরকম চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছিল। বছরে প্রায় ২ কোটি বেকার যুবককে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হলেও আদতে তা কার্যকরী হয়নি বলে দাবি তৃণমূলের। বিজেপির এই ‘মিথ্যা প্রতিশ্রুতি’ ব্যাপারে মানুষ আজ সজাগ হয়েছে। সেই কারণে, ভোটের আগে ফের এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, যা বাস্তবে কোনওদিন সম্ভব নয় বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের।
দিন যত এগিয়ে আসছে জেলার উত্তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক উত্তাপও বাড়ছে। বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে গতবার জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী ডঃ সুভাষ সরকার। তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও করা হয়। এবার তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীকে।