'CAA-কে সমর্থন করব যদি...', কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
তৃণমূলের ইস্তেহারে CAA- র বিরোধিতা স্পষ্ট। এর আগে একাধিকবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগু হওয়ার পর থেকেই একাধিকবার এই প্রসঙ্গে সুর চড়াতে শোনা গিয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমোকে। এবার রানাঘাটের সভা থেকে উল্লেখযোগ্য বক্তব্য রাখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'BJP অনেক জায়গায় বলছে CAA নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। এখানে ক্যামেরা রয়েছে। আমি বলছি, যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদের সাত দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব দিন। নোটিফিকেশন করে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দফতর যদি বলে ভারতবর্ষে আমরা CAA-র পর আমরা NRC করব না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় CAA-কে সমর্থন করবে। আমি বুক ঠুঁকে বলে গেলাম।'
এদিন CAA নিয়ে সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'পাঁচ বছর আগে পাশ হওয়া বিল তার নিয়মাবলী তৈরি হল নির্বাচনী তারিখ ঘোষণার সাতদিন আগে। CAA আইনে আগে আপনাকে ঘোষণা করতে হবে আপনি বাংলাদেশি, আফগানিস্থানের নাগরিক। এরপর পরীক্ষা হবে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হবে। সরকারি পরিষেবা যা পাচ্ছেন তা বন্ধ হবে। তারপর NRC করে আপনাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে। অসমে যাঁর নেতৃত্বে ১৯ লাখ লোক, যাঁর মধ্যে ১২ লাখ হিন্দু বাঙালিকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে এরা-হিমন্ত বিশ্বশর্মা।'
অভিষেক বলেন, ‘আপনারা ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন, সাংসদ নির্বাচিত করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে আপনাদের কারও কাছে হাত পাততে হবে না।’
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগেই দেশজুড়ে CAA লাগু করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। এরপর থেকেই সরব হয়েছিল তৃণমূল। এর আগে একাধিকবার বিভিন্ন মঞ্চ থেকে CAA নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিনের সভা থেকে ফের একবার সরব হলেন অভিষেক।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিতে পারি তাহলে ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মানুষকে আবাসের টাকাও দেব। আগামী দিনে আপনি আপনার অধিকার সামনে রেখে লড়ুন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪-এর মধ্যে ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে বাড়ির টাকা পৌঁছে দেবে রাজ্য সরকার। এটা আমাদের গ্যারান্টি।’
পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীর গ্যারান্টিকে তোপ দেগে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মোদীর গ্যারান্টি মানে জিরো ওয়ারেন্টি।’