• 'আজকের দিনটা ভুলব না', বাম প্রার্থীকে খাইয়ে হাউ হাউ করে কাঁদলেন সরস্বতী
    এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
  • 'মধ্যাহ্নভোজ রাজনীতি' বাংলায় বেশ জনপ্রিয়। শুরুটা অনেকটা হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের নেতাদের হাত ধরে। হেভিওয়েট নেতারা বাংলায় এলে সাধারণ মানুষের দাওয়াতে বসে সারতেন ভোজ। মেনু থেকে শুরু করে রান্না! সব জানার জন্য আলাদা করে একটা কৌতুহল থাকত। অর্থাৎ জনসংযোগের সঙ্গে প্রচারের 'তুখড় কম্বো' বলে মতামত ওয়াকিবহাল মহলের। এবার হুগলিতে প্রচারে নেমে একাধিকবার জনসংযোগের জন্য সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে খেয়ে দেখা গিয়েছে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কিন্তু, হুগলি কেন্দ্রে শুরু রচনা নয়, তাঁর সঙ্গে এবার এই তালিকায় নাম লেখালেন বাম প্রার্থী মনদীপ ঘোষ।রবিবাসরীয় প্রচারে হুগলির বাম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ বলাগড়ের চাঁদরা থেকে খালপার মিলনগড় হয়ে দক্ষিণ মিলনগড় জিরাট হাটতলায় শেষ করেন প্রথম পর্যায়ের প্রচার। দক্ষিণ মিলনগড়ের বাম কর্মী সুনীল হালদারের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করেন মনোদীপ। সুনীল প্রান্তিক কৃষক।

    মুলি বাঁশের বেড়ার ঘরে বসবাস করেন তিনি। পাটকাঠির ঘেরা রান্না ঘরে কাঠের উনুনে রান্না করেন সুনীলের স্ত্রী সরস্বতী হালদার। পরিপাটি করে খেতে দেন বাম প্রার্থীকে। টক ডাল, আলু ভাজা, ডিমের ডালনা দিয়ে অতিথি আপ্যায়ণ করেন।

    লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তাঁর বাড়িতে খেলেন এই আনন্দে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন সরস্বতী। তিনি বলেন, 'আমি খুশি তিনি আমার বাড়িতে খেলেন। এই দিনটা ভুলব না। দরিদ্র পরিবারের আপ্যায়ণে খুশি হন মনোদীপও।'

    সরস্বতী বলেন, 'আমি ভীষণ খুশি। আজ আমার বাড়িতে এসেছেন তিনি। আমি এই দিনটা কোনওদিন ভুলতে পারব না। আমরা গরিব মানুষ। ঘর দুয়ার নেই। স্বামী খেটে খাওয়া মানুষ। এমন একটা ঘরে তিনি এসেছেন এটাই আমাদের কাছে বড় পাওনা।'

    বাম প্রার্থী বলেন, 'ওদের থেকে আন্তরিকতা পেলাম তা ভোলার নয়। ওদের যে আবেগ সত্যি এটা পাওনা। ওরা সমস্ত দিক থেকে বঞ্চিত। রান্নার গ্যাস পায়নি। আবাস যোজনার বাড়ি পায়নি। ওরা খুব সংকট অভাবের মধ্য দিয়ে চলছে। তা সত্ত্বেও সন্তানকে পড়াচ্ছে। আমরা দেখি প্রচারে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এর সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই।' পাশাপাশি পানীয় জলের সমস্যা নিয়েও এদিন সরব হন বাম প্রার্থী। তাঁর দাবি, ‘অনেক বাড়িতে পাইপ লাইন ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তাঁরা জল পাচ্ছেন না সেখান থেকে।’
  • Link to this news (এই সময়)