অন্যান্য দিনের মতোই রবিবারও ভোটের প্রচারে বেরিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই সময় এক মহিলা বৈশালী মুখোপাধ্যায় তাঁর কাছে এসে জানান, তাঁর বিউটি পার্লারের জন্য উপযুক্ত লাইসেন্স এবং অন্যান্য নথি থাকা সত্ত্বেও তা সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলের দিকে। মহিলার অভিযোগ শুনে হুংকার শোনা গিয়েছে দিলীপ ঘোষের কণ্ঠে। পালটা সরব হয়েছে তৃণমূলও।এদিন মহিলার অভিযোগ শোনার পর দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘একজন মহিলা নিজের পায়ে দাঁড়াতে বিউটি পার্লার চালাতেন। প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের জন্য এত প্রজেক্ট এনেছেন তাঁরা যাতে স্বাবলম্বী হন। কিন্তু, তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস বৈধভাবে ভাড়া দিয়ে চালানো বিউটি পার্লার বন্ধ করে দিচ্ছেন। কীসের মামদোবাজি এত! যা ইচ্ছা করবে নাকি! মারপিট, পার্লার তুলে দিচ্ছে। আদালত রায় দেওয়ার পরেও প্রশাসন তালা খুলছে না।’
এখানেই শেষ নয়, দিলীপ আরও বলেন, ‘কীর্তি আজাদকে বলছি তোমার চোখ থাকলে দেখে যান, আপনার বিধায়ক মহিলাদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করছেন। আমি বলে যাচ্ছি এখানে দাঁড়িয়ে, ভোটের পরে যদি তালা খুলে না দেয় তাহলে আমি হাতুড়ি দিয়ে তা ভেঙে দেব। কোনও অত্যাচার করতে দেব না।'
এদিকে এই প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস পালটা সরব হয়েছেন। তিনি বলেন, 'যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি দিলীপ ঘোষকে অভিযোগ না করে আইনের দ্বারস্থ হতে পারতেন। কিন্তু, তিনি যখন তা করেননি সেক্ষেত্রে নিশ্চই তাঁর কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। আমি মনে করি যদি ঘটনাটি সত্যি হয়ে থাকে তিনি আইনের আশ্রয় নিন। পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন রয়েছে। কেউ অন্যায়ভাবে কারও দোকান বন্ধ করতে পারেন না, সে তিনি যত বড় নেতাই হন না কেন।'
এদিকে ওই মহিলা দাবি করেছিলেন, তিনি থানায় গিয়েও অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও সুরাহা পাননি। এই প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎবাবু বলেন, 'আদালতে তিনি নিশ্চই কিছু প্রমাণ করতে পারেননি। আদালতে তো প্রমাণ করতে হবে বিধায়ক তালা দিয়েছে। অভিযোগ যে কেউ কারও নামে করতে পারে। কিন্তু, প্রমাণ করতে হবে।'
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তিনি কোনও মন্তব্য করলে এই প্রতিবেদনেই তা সংযুক্ত করে দেওয়া হবে। সবমিলিয়ে দিলীপ ঘোষের এই অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনীতির অন্দরে।