'আমিও টার্গেট, অভিষেকও টার্গেট, জীবন নিয়ে নিতে পারে', বিস্ফোরক মমতা
এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
'বোমা' পড়তে চলেছে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার সেই বিষয়ে পালটা জবার দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে নিজের ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কাও প্রকাশ করলেন তিনি। নাম না করে বিজেপিকে 'ডেঞ্জারাস' বলেও আখ্যা দিলেন তিনি।দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে দলীয় প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এই যে বোমা ফাটানোর কথা বলছে, আমিও টার্গেট অভিষেকও টার্গেট। এরা আমাদের জীবন পর্যন্ত নিয়ে নিতে পারে, এত ডেঞ্জারাস এরা। মনে রাখবেন, নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কখনও ভাবি না। আমার মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবি। এইসব চালাকি, নানারকম চক্রান্ত, যেমন পুলওয়ামায় করেছিল। এগুলো হচ্ছে চক্রান্ত, এই চক্রান্ত ভেঙে দেবই আমরা।'
এই যে বোমা ফাটানোর কথা বলছে, আমিও টার্গেট, অভিষেকও টার্গেট। এরা আমাদের জীবন পর্যন্ত নিয়ে নিতে পারে, এত ডেঞ্জারাস এরা।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শনিবার দক্ষিণ মালদার ইংরেজবাজারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'কাল রবিবার, আগামী সপ্তাহ শুরু হতে চলেছে, আপনারা দেখবেন, আমি বলব না বিস্তারিত, আগামী সপ্তাহের শুরুতে এমন একটা বোমা পড়বে, তৃণমূল বেসামাল হয়ে যাবে।' শুভেন্দু আরও বলেন, 'তৃণমূল কূলকিনারা পাবে না।, সেই ব্যবস্থার দিকেই যাচ্ছে, আপনারা অপেক্ষা করুন।'
অন্যদিকে এদিন পুরনো স্মৃতিও রোমন্থন করেন মমতা। তিনি বলেন, 'পার্থ সিংহরায় যখন কুমারগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মারা গেল, প্রায় শখানেক ছেলেমেয়েকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারা বালুরঘাটের লক-আপে ছিল। আমার কাছে খবরটা আসে, রাতের মধ্যে ছুটে আসি। এসে এই বিপ্লমব মিত্রকে বলি, বিপ্লবদা কালকে আমাদের কোর্টে ফাইট করতে হবে ওদের জন্য। আমি নিজেও আইনজীবী। বিপ্লবদা বললেন, এত রাত্রে কী করে পাব সবাইকে? আমি বললাম, চলুন না দেখা যাক। আপনার এখানকার সবচেয়ে সিনিয়র আইনজীবী কে? বললেন শঙ্করদা। আমি বললাম চলুন শঙ্করদার বাড়ি। তখন রাত ১১টা বাজে। দরজা বন্ধ, কী করে ঢুকব? আমি বিপ্লবদাকে বললাম পাঁচিল টপকান, বিপ্লবদাও পাঁচিল টপকালেন, আমরাও পাঁচিল টপকালাম। ওঁরা দেখল, চোর ডাকাত নয়, আমরা এসেছি কথা বলতে। শঙ্করদাকে রাজি করলাম। শঙ্করদা দাঁড়ালেন, শঙ্করদার সঙ্গে বিপ্লব মিত্র দাঁড়ালেন। আর আমি দাঁড়ানোর জন্য সুভাষ চাকিকে বললাম, সুভাষ আমাকে একটা গাউন দিতে পার? সুভাষ আমাকে একটা গাউন দিল। সেই পরে কুমারগঞ্জের ব্যাপারে আমরা কোর্টে দাঁড়িয়ে সবাইকে মুক্ত করে দিয়েছিলাম। সেই গাউনটা আজও রেখে দিয়েছি।' এদিন পার্থ সিংহরায়ের মা মঞ্চে উপস্থিতও ছিলেন।