Lok Sabha Election 2024: ভোট মিটতেই হিংসা দুই জেলায়
এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি: ভোটপর্ব মিটতে না মিটতেই ফের রাজনৈতিক অশান্তি শুরু হয়েছে কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। শুক্রবার রাতে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা এলাকায় হামলা ও পাল্টা হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে। শনিবার কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে আহত কর্মীদের দেখতে যান বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়।তিনি বলেন, ‘তৃণমূল ভোটের দিন ও ভোট শেষের পরেও লাগামছাড়া সন্ত্রাস করেছে। দলের দশ জন কর্মী আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি।’ যদিও তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘দলের কর্মীদের মারধর করেছে বিজেপি। অথচ সেই ঘটনা চাপা দেওয়ার জন্য পাল্টা হামলার মিথ্যা অভিযোগ করছে ওরা৷’
শুক্রবার রাত থেকেই একাধিক সংঘর্ষের খবর আসে কোচবিহার পুলিশের কাছে৷ শীতলকুচি হাইস্কুলের সামনে ভোট শেষে এলাকায় বোমাবাজি করে ইভিএম লুটের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। মাথাভাঙা ১ ব্লকের দলুয়ারপাড় এলাকায় এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ধনঞ্জয় বর্মন নামে আহত ওই যুবককে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দিনহাটার টিয়াদহে তৃণমূল কর্মী সুকুমার মালির বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হন ওই তৃণমূল কর্মীর বাবা নিবারণ মালি। হাতে কোপ লেগেছের তাঁর৷ দিনহাটার পুঁটিমারি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়খড়িয়া এলাকায় দু’টি বোমা উদ্ধার করেছে দিনহাটা থানার পুলিশ। ফণী বর্মন নামে বিজেপি কর্মীর বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয় বোমা দুটি। তাঁর অভিযোগ, ‘ছেলে বিরাজ বর্মন বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন। সেই কারণে তৃণমূল রাতে বোমাবাজি করেছে৷’ শীতলকুচির আমলারডাঙায় আরও এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত হয়েছেন এক বিজেপি কর্মী। শুক্রবার রাতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসতেই তাঁর উপরে চড়াও হন কয়েকজন। সুরেন রায় নামে ওই বিজেপি কর্মীকে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বিজেপি কর্মী বলেন, ‘ভোটের কাজ সেরে বুথ থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য দলবল নিয়ে আমার উপরে হামলা চালায়।’ বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা অরূপ দে।