রাজস্থানের জালোরের একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে নাম না করে সোনিয়া গান্ধীর কড়া ভাষায় নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদে পৌঁছানোর জন্য রাজ্যসভার পথ বেছে নেওয়ার জন্য প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির নিন্দা করেছেন তিনি।ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, কংগ্রেস প্রথমে দক্ষিণ থেকে একজন নেতাকে (কে সি ভেনুগোপাল) রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল। তখন রাজস্থান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে সাহায্য করেছিল। তিনি বলেন, মনমোহন সিং দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু তাঁকেকি এখআনে রাজস্থানে কখনও দেখা গেছে? একন আবার কংগ্রেসের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে রাজস্থান। কংগ্রেসের আরেক নেতা রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। এরপরই তিনি কটাক্ষ করে বলেন, যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারে না এবং জিততে পারে না, মাঠ থেকে পালিয়ে যায় তারা রাজ্যসভার পথ নিয়েছিল।মোদী বলেন, ‘কংগ্রেস ৬০ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল। একসময় তারা ৪০০টি আসন জিতেছিল কিন্তু আজ তারা ৩০০টি আসনে প্রার্থীও খুঁজে পায়না। তারা তাদের অন্যায়ের মূল্য দিচ্ছে। এখন তারা একটি সুবিধাবাদী জোট করেছে। ভারত ব্লক যেটি উড়তে পারার আগেই তার ডানা কেটে ফেলেছে তথাকথিত মিত্ররা রাজ্যে এবং অন্তত ২৫ শতাংশ একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে।‘প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোট হবে জালোরে।শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মহারাষ্ট্রের নান্দেদে প্রচারে বলেন যে রাহুল গান্ধীকে এবারও ওয়েনাড থেকে পালাতে হবে যেমন তিনি ২০১৯ সালের নির্বাচনে আসন হারানোর পর আমেঠি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ’কংগ্রেসের সাহাজাদে ওয়ানাডে একটি সমস্যা দেখেছেন। তিনি ২৬ এপ্রিল ভোটের জন্য অপেক্ষা করছেন, তারপর তিনি এবং তাঁর দল একটি নিরাপদ আসন খুঁজবেন কারণ আমেঠির পর তাকেও ওয়ানাড ছাড়তে হবে।’একটি বড় সিদ্ধান্তে সোনিয়া গান্ধী তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থার উল্লেখ করে তার রায়বেরেলি আসনটি খালি করেছিলেন। কংগ্রেস এখনও রায়বেরেলি থেকে কোনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি এবং বিজেপিো সেই আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেনি। সেখানে ভোট হবে ২০ মে।
নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, ’আমি গর্বের সঙ্গে বলছি যে আমি আজ যা কিছু তা সবটাই আপানাদের জন্য। এবং আমি সবসময় আপনার বিশ্বাসকে সম্মান দেওয়ার জন্য আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। এখন স্বাস্থ্য এবং বয়সের সমস্যার কারণে আমি আগমী লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করব না।’ সোনিয়া গান্ধী নির্বাচনী রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর রায়বেরেলির জনগণের জন্য একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের পর আমি সরাসরি আপনাদের সেবা করার সুযোগ পাব না কিন্তু আমার হৃদয় এবং আত্মা সবসময় আপনাদের সাথে থাকবে। আমি জানি আপনারা অতীতের মতো ভবিষ্যতেও আমার এবং আমার পরিবারের পাশে থাকবেন।’