মার্চ মাসেই রাজ্যের প্রতিটি কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর থেকেই ঝোড়ো প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। প্রচারের মাঝে নানা অভিনবত্ব দেখা গিয়েছে তৃণমূল প্রার্থীদের। এবার নতুন সংযোজন হাওড়ায়। তৈরি করা হল ইয়ং ব্রিগেড।লোকসভা নির্বাচনের আগে বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তৈরি করা হল বুথে বুথে যুব যোদ্ধা দল। রবিবার মধ্য হাওড়ার বিধায়ক এবং রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ভোটের একমাস আগে যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে বুথে বুথে যুব যোদ্ধা দল।
তৃণমূলের দাবি, এই যুব যোদ্ধারা ভোটের আগে মধ্য হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যেকটি বাড়িতে যাবেন। তাঁরা গত ১৩ বছরে রাজ্য সরকার যে সব উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, সেগুলোর সম্পর্কে মানুষকে বোঝাবেন। এর পাশাপাশি কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধেও সরব হবেন। এদিন তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা না দিলেও মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যের মানুষদের পাওনা টাকা মিটিয়ে দিয়েছেন। আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্র না দিলেও রাজ্য সরকার তা মিটিয়ে দেবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন।
তৃণমূলের জোয়ারে সামিল ভাঙড়ের জমি কমিটির সদস্য!
এর পাশাপাশি লক্ষী ভাণ্ডারের টাকাও দ্বিগুণ করা হয়েছে। আর এই উন্নয়নমূলক কাজকে সামনে রেখে তারা লাগাতার ভোটের প্রচার করবেন। এদিন মধ্য হাওড়ার দলীয় কর্মীদের জন্য তিনি যুব যোদ্ধা গেঞ্জির উদ্বোধন করেন। মূলত, দলের যুব সংগঠনের সদস্যরা এই প্রচারে অংশগ্রহণ করবেন। তাঁরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে হওয়া নানা উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরবেন।
হাওড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে গতবার জয়ী হয়েছিলেন প্রখ্যাত ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারেও তাঁর ভরসা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে এই কেন্দ্রে জিতে আসছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবার এই কেন্দ্র বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছিল রন্থিদেব সেনগুপ্তকে। এবার প্রার্থী বদল করা হয়েছে। এবার এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যাওয়া ডঃ রথীন চক্রবর্তীকে। এবার দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে। সিপিএম তরফে এবার এই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়কে।