সিঙ্গুরে মহিলাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে একটি ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। তাতে ‘নববর্ষের উপহার’ লিখে কিছু জিনিস দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ আনল বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তবে বিজেপির, এই অভিযোগকে নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে।রবিবার, হুগলি বিজেপি জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে হরিপাল সিঙ্গুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের মানি ব্যাগ দিচ্ছে। ব্যাগে কী ছিল তা মহিলারা বলতে চাননি। তাঁর দাবি, ‘এর মধ্যে টাকাই থাকবে। টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাইছে। ব্যাগে লেখা আছে নববর্ষের উপহার। এই রকম উপহার তো অনেকেই দিতে পারে। কিন্তু এখন নির্বাচন আচরণ বিধি চালু আছে, সেই বিধি ভঙ্গ করা হয়েছে।আমরা কমিশনে নালিশ জানাব।’
লকেট এদিন আরও একটি চিঠি দেখিয়ে বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীল গ্রেফতার হয়েছে। অয়নকে টাকা তুলে দিয়েছিল তৃণমূলের অনেকেই। তাঁদের মধ্যে দেবানন্দপুর পুরের তৃণমূল নেতা শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় ছিলেন। চাকরি দিতে না পারায় শ্রীকুমার(গুরু দা) তার ছেলে রূপকুমার চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে আত্মহত্যা করেন। অয়ন শীলকে ইডি গ্রেফতার করলেও পরে সিবিআই এর হাতে যায়।
'ও আমার বন্ধু, এটা হোক আমি চাই না' মন্তব্য লকেটের
সেই মামলায় তিনজনকে সিবিআই নোটিশ করেছে সাক্ষী হিসেবে। গত ১৭ ও ১৮ তারিখে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁদের। সেই নোটিশ দেখিয়ে লকেট অভিযোগ করেন, তৃণমূলের আরও অনেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত আছে। চুঁচুড়া মগড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি তাপস চক্রবর্তী চুঁচুড়ার বিধায়কের নামও আসবে বলে দাবি করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল চেয়ারপার্সন ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, ‘লকেট চট্টোপাধ্যায় তো বলবেনই, কারণ তিনি তো টাকা দিয়ে ভোট কেনেন। ২০১৯ সালে কোটি কোটি টাকা খরচা করেছিল। আবার ২০২৪ সালে ছেলেদের টাকা দিয়ে ভোট কিনছে।’ তাঁর দাবি, তৃণমূলের ভোট কেনার জন্য মানুষকে টাকা দিতে হয় না। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের জনগণ মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে যা প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে, তাতে উন্নয়নে ভোট দেবে। তাই তৃণমূলকে টাকা দিতে হয় না। বরং বিজেপির গাড়ি থেকেই টাকা পাওয়া যাচ্ছে। বিজেপি ধমকে চমকে টাকা নেয় হাজার হাজার কোটি টাকা তাদের ফান্ডে নিচ্ছে এটা তৃণমূলের প্রয়োজন হয় না।