তাপপ্রবাহে পুড়ছে বাংলা, হুগলি স্টেশনে বসেই মৃত্যু পৌঢ়ের
২৪ ঘন্টা | ২২ এপ্রিল ২০২৪
বিধান সরকার ও শ্রীকান্ত ঠাকুর: প্রবল দাবদাহে পুড়ছে বাংলা। রবিবারও তাপমাত্রা পার করেছে ৪০ এর ঘর। চারদিকে লু-র পরিস্থিতি। এই প্রবল গরমে হুগলি স্টেশনে মৃত্যু হলে এক ভবঘুরে পৌঢ়ের। রবিবার হুগলি স্টেশনের ২ ও ৩ নম্পর প্লাটফর্মের মধ্যে বেঞ্চের নীচে বসেই মৃত্যু হল ওই পৌঢ়ের।
হিট স্টোকের বলি ভবঘুরে প্রৌঢ়! হুগলি স্টেশনে ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে বেঞ্চের নীচে বসে মৃত্যু হয় তার। স্টেশনের দোকানদার আকবর আলি জানান, গতকাল কাল রাত থেকে এখানে ছিলেন। রাতে একটা কেক খেতে দিলাম। ভালোই ছিলেন। সামনেই ঘুমাচ্ছিলেন। সকালে টিফিন দিলেন। খাননি। ভালো লাগেনি মনে হয়। আগে কখনও ওকে এই স্টেশনে দেখিনি। আজ দুটা আড়াইটে নাগাদ মারা গিয়েছেন মনে হচ্ছে। নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ওই দোকানদার আরও বলেন, দুপুর আড়াটে নাগাদ নড়াচড়া করছে না দেখে স্টেশন মাস্টারকে খবর দেন প্ল্যাটফর্মের ব্যবসায়ীরা। হুগলি স্টেশন মাস্টার ব্যান্ডেলে খবর পাঠান।ব্যান্ডেল থেকে পাঁচটা নাগাদ রেলের অ্যাডিশনাল চিফ মেডিকেল অফিসার অভিজিৎ সেনগুপ্ত আসেন। ব্যান্ডেল জিআরপির কর্মীরা উপস্থিত হন। চিকিৎসক প্রৌঢ়কে স্টেথোস্কোপ দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন। মৃতদেহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। কী ভাবে মৃত্যু তা ময়না তদন্তে স্পস্ট হবে।
অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় গিয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক তৃণমূল সমর্থকের। তার নাম শরিফ সরকার (৫৫)। বাড়ি গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়। রবিবার জেলার উষ্ণতম দিন ছিল। বেলা দুটো নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী কুমারগঞ্জে এসে পৌঁছান। সভা শেষ হওয়ার আগেই শরীফ বাবু অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে তাকে কুমারগঞ্জের ডাঙ্গারহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠান। গঙ্গারামপুর কালদিঘি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান অত্যধিক গরমের কারণেই মৃত্যু হয়েছে শরিফ সরকারের।