এই সময়: এ দেশে গবেষণা হয় ঠিকই। তবে সংখ্যা কিংবা গুণমানে ইউরোপ-আমেরিকার মতো নয়। লিভারের অসুখ নিয়ে গবেষণাও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই আধুনিক গবেষণা কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে পথ দেখানোর উদ্যোগ নিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, লিভার ফাউন্ডেশন। ইউএসএ-র ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি (ভিসিইউ)-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সেন্টার ফর স্টাডি অফ দ্য লিভার-এর সহযোগিতায় এর জন্য সারা দেশের ১৮ জন তরুণ স্কলারকে বেছে নেওয়া হয়েছে লিভার ফাউন্ডেশনের তরফে।
ওই ১৮ জন লিভার বিশেষজ্ঞকে লাগাতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, কী ভাবে লিভার ও তার নানা রোগভোগ সংক্রান্ত গবেষণাকে উৎকর্ষের শীর্ষে নিয়ে যাওয়া যায়। তারই আনুষ্ঠানিক সূচনায় শুক্র ও শনিবার দু’দিনব্যাপী কর্মশালা আয়োজিত হলো শহরে। প্রধান অতিথি ও সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিএমআর-এর মহানির্দেশক রাজীব বেহল ও কলকাতার ইউএস কনসাল জেনারেল মেলিন্ডা পাভেক।লিভার ফাউন্ডেশনের জন সি মার্টিন সেন্টার ফর লিভার রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশনস এবং রিচমন্ডের ভিসিইউ-এর অধীন স্টারভিজৎ-সান্যাল ইনস্টিটিউট ফর লিভার অ্যান্ড মেটাবলিক হেলথের তরফে হাজির ছিলেন চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, অশোকানন্দ কোনার, অরুণ জে সান্যাল, অজয় দুসেজা প্রমুখ। ছিলেন ইউএসএ-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হেলথ অ্যাটাসে জেনেসা জিওর্জির মতো ব্যক্তিরাও।
লিভার ফাউন্ডেশনের তরফে অভিজিৎবাবু জানান, কর্মসূচির পোশাকি নাম—শার্পেনিং অ্যাপটিটিউড ফর হেপাটোলজি রিসার্চ প্রোগ্রাম (শার্প)। উদ্দেশ্য, লিভার নিয়ে উন্নত মানের লিভার গবেষণার জন্য গ্রুমিং প্রোগ্রাম চালু করা, যাতে নিখুঁত গবেষণা সফল হয়। ১৮ জন লিভার বিশেষজ্ঞের মধ্যে তিন জন বাঙালিও রয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১৬ জনই চিকিৎসা বিজ্ঞানের গ্যাস্ট্রো-এন্টেরোলজি কিংবা হেপাটোলজি শাখায় পোস্ট-ডক্টরাল ডিগ্রি, ডিম উত্তীর্ণ। ২ জন এমএসসি করার পর পিএইচডি করেছেন লিভার বিজ্ঞানে।