• সিএএ পর এনআরসি না হলে সিএএ-কে সমর্থন, রানাঘাটের সভায় বললেন অভিষেক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • সংশোধিত্ব নাগরিকত্ব আইনে (সিএএ) বিজেপি নেতারাও আবেদন করা নিয়ে সন্দিহান, মাস খানেক এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। এবার রানাঘাটে প্রচারে গিয়ে সেই প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রানাঘাট দত্তফুলিয়ায় ইউনিয়ন অ্যাকাডেমি ফর গালর্স স্কুলের মাঠে তিনি প্রশ্ন করেন বিজেপি কতজন নেতা সিএএ-তে আবেদন করেছেন? তাঁর দাবি, যদি সিএএ পর এনআরসি না হয় তবে তিনি সিএএ-কে সমর্থন করবেন।

    জনসভায় অভিষেক বলেন, '২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ-র ঘোষণা করে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং মতুয়া, নমশূদ্র, উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু পাঁচ বছর আগে পাশ হওয়া বিল নিয়ে নিয়মাবলী লোকসভা নির্বাচনের আগেই ঠিক করার নেপথ্যে বিজেপি-র রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে।'

    তিনি অসমের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, 'অসমে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম উঠেছে, যার মধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু বাঙালি রয়েছেন। তাঁদের বন্দি শিবিরে পাঠানো হয় যাঁর নেতৃত্বে, তাঁকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করেছে বিজেপি। যাঁরা প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক নির্বাচন করেন ভোট দিয়ে, তাঁদের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে কেন। বিজেপির কতজন নেতা সিএএ-তে আবেদন করেছেন?'

    সিএএ নিয়ে অভিষেক বলেন, 'আপনারা সকলেই দেশের নাগরিক। তর্কের খাতিরে যদি নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি মেনেও নিই, তা হলে সাত দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব দেওয়া হোক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানাক, সিএএ-র পর এনআরসি হবে না, তা হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সিএএ-কে সমর্থন করবে।' এদিনের সভা থেকে বিজেপিকে একহাত নেন অভিষেক।

    তৃণমূল নেতা আরও বলেন,' নির্বাচনের ঠিক মুখে যে সিএএ কার্যকর করেছে বিজেপি, তার আবেদনপত্রটিই ৪০ পাতার। সেখানে আগে আবেদনকারীকে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি অথবা আফগান বলে ঘোষণা করতে হবে। এর পর তাঁর আবেদনপত্র খতিয়ে দেখা হবে। সরকারি পরিষেবা মেলে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, বন্ধ হয়ে যাবে তা-ও। এর পর এনআরসি করে সকলকে বের করে দেওয়া হবে।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)