• বাংলার সবুজসাথী সাইকেল বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশে? ওপারে যাচ্ছে কীভাবে? দাম কত উঠছে?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • ক্রিং ক্রিং সাইকেল লিচু বাগানে। না এক্ষেত্রে সাইকেল আর লিচু বাগানে নয়। বাংলার সবুজ সাথীর সাইকেল এবার একেবারে বাংলাদেশে। সেখানে একেবারে হটকেকের মতো বিকোচ্ছে এই সরকারি সবুজসাথীর সাইকেল। সেখানে এই সাইকেলের চাহিদাই আলাদা। এগুলির কদরও চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বাংলার সরকারি সাইকেল বাংলাদেশে যাচ্ছে কি করে? 

    সবুজ সাথীর সাইকেল। ছাত্রছাত্রীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। আবার ছাত্রছাত্রীদের বাবাদের মধ্য়ে অনেকেই এই সাইকেলে চেপেই বাজার হাট করেন। কিন্তু সবুজসাথীর সাইকেল  বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার প্রশ্ন এখান থেকে বাংলাদেশে কীভাবে যায় সাইকেল? 

    সোশ্য়াল মিডিয়ায় সেই সংক্রান্ত ভিডিয়ো ঘুরছে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে এগুলি হল সবুজ সাথীর সাইকেল। তবে ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।  রীতিমতো লোগো লাগানো রয়েছে। কিছু সাইকেল হয়তো কিছুদিন চালিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। কিছু সাইকেল আবার একেবারে নতুন। বিশ্ব বাংলার লোগোও রয়েছে সাইকেলের পেছনে। আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদনে সেই সংক্রান্ত তথ্য় সামনে এসেছে।

    সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশে এই ধরনের সবুজ সাথী সাইকেলের দাম ৭-৮ হাজার টাকা। আর সেখানে এই ধরনের নতুন সাইকেলের দাম পড়ছে ১৪-১৫ হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে হাফ দামে বাংলার সবুজ সাথী কিনছেন অনেকেই। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। 

    এদিকে ওই সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে এক হাটের ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, অনেকেই বলেন এগুলো নাকি পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়ের বিনামূল্য়ে দেওয়া সাইকেল। আমরা অত কিছু জানি না। পাইকারদের কাছ থেকে নিয়ে আসি। ২০০-৩০০টাকা লাভ রেখে বিক্রি করে দিই। 

    এখানেই প্রশ্ন এই সাইকেল সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে কীভাবে? 

    প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে দুভাবে এই সাইকেল বাংলা থেকে বাংলাদেশে চলে যায়। একটা দিক হল একাধিক ভারতীয়র কাঁটাতারের ওপারে চাষের জমি আছে। তাঁরা সাইকেল চেপে ওপারে যান। কিন্তু আসার সময় হেঁটে চলে আসেন। আসলে মাঝের সময়টাতে তারা সবুজ সাথীকে বেচে দিয়ে আসেন ওপারে। তবে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নজর এড়িয়েই এসব কাজকর্ম চলে বলে অভিযোগ। 

    তবে আরও একটি পথ রয়েছে। সেটা হল চোরা পথ। একাধিক খোলা বর্ডার দিয়ে এই পাচার চলে। মূলত কাঁটাতার বিহীন এলাকা দিয়ে এই পাচার চলে। বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এই সাইকেল সংগ্রহ করে সেটা পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)