সাম্প্রতিক অতীতে যে সমস্ত ইস্যুতে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে, তারমধ্যে এসএসসি তথা নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যু। আজ সেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-র কর্মী নিয়োগের পাশাপাশি,নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগেও একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। আজ মামলার রায় দেবে উচ্চআদালত। আর সেই রায়ের আগে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের।কী লিখলেন কুণাল?পোস্টে কুণাল লেখেন,'শিক্ষক চাকরি মামলা। যেখানে ভুল, অন্যায়, ব্যবস্থা হোক। দোষীরা শাস্তি পাক। কিন্তু, যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি যেন বাধা না পায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আন্তরিক সদিচ্ছা নিয়ে তাদের চাকরির চেষ্টা করেছে। কিছু অন্যায়কে প্রাধান্য দিতে গিয়ে যেন যোগ্যদের অনিশ্চয়তায় ফেলে না দেওয়া হয়। এদের স্বার্থে যা চেষ্টা দরকার, সরকার করেছে। এদের অবিলম্বে চাকরি দরকার। আশা করি আদালতের রায়ে এই চাকরির জট খুলতে সরকারের চেষ্টা মান্যতা পাবে।'
দুর্নীতি প্রমাণিত হলে কী কী হতে পারে?এদিকে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের কী পরিণতি হবে? এক্ষেত্রে গত ১৩ই মার্চ, শুনানি চলাকালীন পর্যবেক্ষণে দু'টি বিকল্পের কথা উল্লেখ করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। দুর্নীতি প্রমাণিত হলে বাতিল করা হতে পারে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া, কিংবা বাতিল করা হতে পারে গোটা নিয়োগের অংশবিশেষ।
ওই দিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ বলে, একটা পচা আপেল গোটা ঝুড়ির আপেলকেই নষ্ট করে দেয়। পিছনের দরজা দিয়ে চাকরি পেলে কী করা উচিত? পদ ভরাতে হবে বলে অযোগ্যদের নিয়োগ কেন করা হবে? অযোগ্যরা কী শেখাবেন? যদি সবটা অবৈধ হয়, তাহলে যা পরিণতি হওয়ার, তাই হবে। একইসঙ্গে বিচারপতিরা আরও বলেন,কমিশনকে বিশ্বাস করতে না পারলে তো গোটা নিয়োগই বাতিল করা উচিত।
আজ বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ রায় ঘোষণা করার কথা বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের। এদিকে দেশে চলছে নির্বাচন। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের মাঝে ই রায় ভোটেও প্রভাব ফরতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। কারণ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বারেবারেই সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত মামলায় রায়ে কী ঘোষণা করে হাইকোর্ট।