জঞ্জাল সংগ্রহ-মশা দমনে দুপুরে কাজ নয় পুরকর্মীদের, সিদ্ধান্ত পুরনিগমের
এই সময় | ২২ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: গরম কমার লক্ষণ আপাতত নেই। উল্টে দিনকে দিন অস্বস্তি যেন বেড়েই চলেছে। সল্টলেক, কেষ্টপুর, রাজারহাট, বাগুইআটির মতো এলাকাগুলোয় যে পুরকর্মীরা কাজ করেন, তাঁদের অবস্থা এক রকম অসহনীয়। এই অবস্থায় পুরকর্মীদের কাজের সময়সীমায় বদল আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিধাননগর পুরনিগম।সেই সঙ্গে কর্মীদের সুস্থ রাখতে ওআরএস ও গ্লুকোজ় এবং টুপি দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। বিধাননগর পুরনিগমের এক কর্তা বলেন, 'তাপমাত্রা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে যাবতীয় পুর পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে পুরকর্মীদের সুস্থ রাখাটা খুব জরুরি। সে কথা মাথায় রেখেই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
বিধাননগর পুরনিগম সূত্রে খবর, এলাকায় জঞ্জাল সংগ্রহ এবং মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় কাজ করেন যে পুরকর্মীরা, আপাতত তাঁদের ভোর ৫টা থেকে বেলা ১১টা এবং বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনিতে তাঁদের সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত কাজ করতে হয়।
পুরনিগমের তরফে জানানো হয়েছে, কর্মীরা দিনে জঞ্জাল সংগ্রহের কাজ করবেন। বিকেলের দিকে মূলত মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় কাজ করবেন ওই পুরকর্মীরা। বাংলা নববর্ষ শুরু হওয়ার ঠিক পরেই বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পরিষদের বৈঠকে এই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ট্র্যাফিক বিভাগের কর্মী ও অফিসাররা এই গরমে, ভয়ঙ্কর রোদে যাতে সুষ্ঠু ভাবে যান শাসনের দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে জন্য তাঁদের বিশেষ কিট দেওয়া হয়েছে দিন কয়েক আগেই। ওই কিটে রয়েছে ছাতা, টুপি, গ্লুকোজ়। বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মীদের সঙ্গে রাস্তায়, তাঁদের কাজের জায়গায় গিয়ে কথাও বলেছেন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরম শর্মা।
কমিশনারেটের তরফে তাঁদের চড়া রোদে টানা কাজ করতে বারণ করা হয়েছে। রাজপথের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে যে সব পুলিশকর্মী ও অফিসাররা ট্র্যাফিক পরিস্থিতি সামলান, তাঁদের ৫-৭ মিনিট অন্তর বিশ্রাম নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতদিন না তাপমাত্রা কমে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, ততদিন এই ব্যবস্থা জারি থাকবে বলে কমিশনারেট জানিয়েছে।