'ইন্ডিয়া আউট' স্ট্র্যাটেজিতেই সিলমোহর! মলদ্বীপে বিরাট জয় চিনপন্থী মুইজ্জুর দলের
এই সময় | ২২ এপ্রিল ২০২৪
চিনের প্রতি যেন প্রেম আরও বাড়বে মলদ্বীপের। রবিবার মলদ্বীপে সংসদীয় ভোট হয়েছিল। আর সেখানে দেখা গেছে শাসকদল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস একটি বিরাট লিড পেয়েছে। ভারতের প্রতি যে দলের কিছুটা হলেও বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব আছে সেই মালদিভান ডেমোক্র্যাটিক পার্টিও পিছনে চলে গিয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মুইজ্জুর প্রভাব আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।এই নির্বাচনকে কার্যত প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর চিনের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের একটি পরীক্ষা বলে ধরে নেওয়া হচ্ছিল। তবে কি পরীক্ষায় ভালো ফল করে ফেলছেন মুইজ্জু? এক্ষেত্রে বলা দরকার যে এই নির্বাচন কিন্তু প্রেসিডেন্ট কে হবেন সেটা নির্ধারণ করার জন্য নয়। কিন্তু মুইজ্জুর হাতে ক্ষমতা থাকবে কি না সেটা অবশ্যই নির্ধারণ করে এই ভোট।
এদিকে ২,৮৪,০০০ ভোটারের মধ্যে ৭৩ শতাংশ মলদ্বীপের সংসদের ৯৩ জন সদস্যকে নির্বাচনের জন্য ভোট দিয়েছেন। আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই সংসদ তৈরি হবে।
রবিবারই ঘোষণা করা হয়েছে ভোটের ফলাফল। দেখা গেছে মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুজ্জুর পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস বা পিএনসি সংসদীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হয়েছে
৯৩ সদস্যের হাউসের জন্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মুইজ্জুর দল ঘোষিত ৮৬ টি আসনের মধ্যে ৬৬টি জিতেছে বলে মলদ্বীপের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। বাকি সাতটি আসনের ফলাফল এখনও ঘোষণা হয়নি। মুইজ্জুর পিএনসি ইতিমধ্যে ৪৭টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সংখ্যার চেয়ে ১৯ টি আসন বেশি রয়েছে। মুইজ্জুর পার্টির এই জয় প্রমাণ করে যে জনগণের রাজনৈতিক ঝোঁক চিনের দিকে সমর্থন করছে। ভারতের দিকে নয়।
প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু গত সেপ্টেম্বরে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল্লাহ ইয়ামিনের প্রক্সি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের ঝুঁকি নিয়ে দেশের ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ নীতি বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, চিনপন্থী আরেকনেতা আবদুল্লাহ ইয়ামিন গত সপ্তাহে দুর্নীতির দায়ে তার ১১ বছরের সাজা বাতিল করার পর মুক্তি পেয়েছেন।
তবে রবিবারের নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি পদে মুইজ্জুর প্রভাব পড়েনি। এদিকে প্রধান বিরোধী দল, মলদ্বীপ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ১২ টি পেয়ে হেরেছে।
মোহম্মদ মুইজ্জু মালেতে তাঁর ভোট দেওয়ার পরে বলেছিলেন ‘সকল নাগরিকের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেরিয়ে আসা উচিত এবং তাদের ভোটের পর অধিকার প্রয়োগ করা উচিত।’ যেখানে তিনি অতীতে মেয়র পদে ছিলেন।