• Election Commission Of India : আইপিএল মঞ্চেও ভোটদানের আবেদন! ভোটারদের বুথমুখী করতে দ্বিতীয় দফার আগে নয়া স্ট্র্যাটেজি কমিশনের
    এই সময় | ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় ২০২৪ সালের লোকসভার প্রথম দফায় তিন শতাংশ কম ভোট পড়েছে। ২১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয়। যার মধ্যে ১৯টি রাজ্যেই ভোটের হার ২০১৯ সালের তুলনায় কম। এই নিয়ে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। ফলে আরও বেশি ভোটারদের বুথমুখী করতে দ্বিতীয় দফার আগেই নয়া স্ট্র্যাটেজি নিতে চাইছে তারা।২০১৯ সালের প্রথম দফায় মোট ভোট পড়েছিল ৬৯.২ শতাংশ। ২০২৪ সালের প্রথম দফায় তা দাঁড়িয়েছে ৬৬ শতাংশে। নির্বাচন কমিশনের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক বলেন, 'ভোটের হার কম হওয়ায় উদ্বিগ্ন কমিশন। ভোটারদের উচ্ছ্বাস কেন কমছে তা বিশ্লেষণ করে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভোটের হার বাড়াতে আরও বেশি পরিষেবা প্রদান করা হবে। টার্নআউট ইমপ্লিমেন্টেশন প্ল্যান, ভোটার এডুকেশন এবং ইলেকটোরাল পার্টিসিপেশন প্রোগ্রাম বাড়ানো হচ্ছে। সেলেব্রিটিদের মাধ্যমে ভোটদানের আবেদন করা হচ্ছে। BCCI এবং IPL-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলিতে ভোটদানের জন্য আর্জি রাখা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও অনেকক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে কিছুতেই বুথমুখী করা সম্ভব হচ্ছে না ভোটারদের।'

    কেন ভোটের হার প্রথম পর্বেই এতটা কম হল? এর নেপথ্য কারণগুলি খতিয়ে দেখছে কমিশন। এই উইকএন্ডে ম্যারাথন বৈঠন করেছে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। সোমবার থেকে নতুন কোনও প্রোগ্রাম এবং স্ট্র্যাটেজি চালু করা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, প্রখর রোদ, তীব্র তাপপ্রবাহ ভোটের হার কম হওয়ার অন্যতম মূল কারণ বলেই মনে করছে নির্বাচন কমিশন। ২০১৯ সালের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে, সে বছর আরও পাঁচদিন আগে হয়েছিল প্রথম দফার ভোট। এ ছাড়াও বিয়ের মরশুম, উৎসব-পার্বণও একটি কারণ হয়ে থাকতে পারে। পাশাপাশি, রাজনৈতিক দলগুলির থেকে বিতশ্রদ্ধ হয়ে ফলাফল কী হতে পারে তা নিয়ে বিভ্রান্তি থেকেও ঘর থেকে বের হননি একাধিক ভোটার।

    ছত্তিশগড়, মেঘালয় এবং সিকিমে ২০১৯ সালের তুলনায় বেশি ভোট পড়েছে। নাগাল্যান্ডে ভোট পড়েছে ৫৭.৭ শতাংশ। যা ২০১৯ সালের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম। মণিপুরে ২০১৯-এর তুলনায় ৭.৭ শতাংশ, মধ্য প্রদেশে ৭ শতাংশ এবং রাজস্থান ও মিজোরামে যথাক্রমে ৬ শতাংশ কম ভোট পড়েছে। বিহারে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে (৪৯.২ শতাংশ)। ২০১৯ সালের থেকে যা ৫৩.৪৭ শতাংশ কম। উত্তর প্রদেশেও ৬১.১ থেকে ভোটের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬.৫ শতাংশ। প্রথম দফাতে ভোট সম্পন্ন হওয়া তামিলনাড়ু এবং উত্তরাখণ্ডে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৬৯.৭ এবং ৭২.১ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গে বেশি ভোট পড়লেও তা ২০১৯-এর (৮৪.৭ শতাংশ) থেকে কম (৮১.৯ শতাংশ)।

    কোন বয়সের ভোটারদের উপস্থিতি কম তা নিয়ে অবশ্য এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। ২৬ তারিখের দ্বিতীয় দফার আগে নয়া স্ট্র্যাটেজি নিয়ে ঝাঁপাতে চলেছে তারা। যা রেকর্ড সংখ্যক ভোটারকে বুথমুখী করতে পারবে বলেই আশাবাদী আধিকারিকরা।
  • Link to this news (এই সময়)