• রেতি নদীর ভাঙা বাঁধ দ্রুত সংস্কারের দাবিতে সরব চা বাগানের বাসিন্দারা
    বর্তমান | ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বানারহাট: গতবছর বর্ষায় জলের স্রোতে ভেঙে যাওয়া রেতি নদীর পাড়বাঁধ বর্ষা শুরুর আগেই শেষ করার দাবি উঠেছে। অনেকদিন আগে কাজ শুরু হলেও বাঁধের কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন বাঁধ পার্শ্ববর্তী এলাকার তিনটি চা বাগানের বাসিন্দারা। 

    গত বছর বর্ষায় ভুটান সীমান্ত চামুর্চির রেতি, সুকৃতি ও খানাভর্তি এই তিন নদীর প্রবল জলের স্রোতে তিনটি জায়গায় পাড়বাঁধ ভেঙে যায়। সেসময় সেচদপ্তরের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি ভাঙা তিনটি স্থানে বোল্ডার দিয়ে বাঁধ বানিয়ে কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। পরবর্তীতে কাজ শুরু হলেও সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি। 

    ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা রেতি, সুকৃতি ও খানাভর্তি নদী তিনটি মিলন স্থল বানারহাট ব্লকের চামুর্চি। সারা বছর এই নদীগুলিতে জল থাকে না। কিন্তু বর্ষাকালে ভুটান ও তার পাদদেশে অতিরিক্ত বৃষ্টির জল নদী সংলগ্ন মানুষের আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠে। গত বছরের ভাঙা বাঁধ দ্রুত মেরামত করা না হলে এবার বানভাসি হতে হবে বলে জানান গ্রামবাসীরা। 

    কাঁঠালগুড়ি চা বাগানের বাসিন্দা বিদুর ছেত্রী বলেন, ভুটান সীমান্তে থাকা তিনটি নদী বর্ষাকালে ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। যদি গত বর্ষায় ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত না করা হয় তাহলে রেতি নদীর জলচ্ছ্বাসে বাঁধ উপচে জল চা বাগানের লোকালয়ে ঢুকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। একই কথা বলেন কারবালা চা বাগানের অমন ওরাওঁ। তিনি বলেন, সারা বছর জল না থাকলেও বর্ষায় নদী ভয়ঙ্কর হয়ে যায়। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, হাতে নেওয়া কাজ দ্রুত শেষ করতে, নইলে এবার বর্ষায় আমাদের ভিটেমাটি ছাড়া হতে হবে। যদিও সেচদপ্তরের বানারহাটের মহকুমা আধিকারিক গৌরব ভৌমিক জানান, গত বছর ভারী বর্ষায় রেতি নদীর পার্শ্ববর্তী কারবালা, কাঁঠালগুড়ি ও চুনাভাটি চা বাগান এলাকার তিনটি স্থানে পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। সেই স্থানগুলি তখনকার মতো বোল্ডার দিয়ে বাঁধাই করা হলেও পরবর্তীতে ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে নতুনভাবে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। আশা করি, বর্ষার আগেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)