• অধীরকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আক্রমণ ফিরহাদের
    বর্তমান | ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • আনন্দ সাহা, লালবাগ: অধীর চৌধুরীকে বিশ্বাসঘাতক বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রবিবার লালগোলা বিরামপুর অভয়া সুন্দরী স্কুলে জঙ্গিপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় ওই মন্তব্য করেন ফিরহাদ। তিনি অধীর চৌধুরীর নাম করে বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে আপনার লড়াই করার ক্ষমতা আছে? এই রাজ্যে ক’টা সিট দলকে আপনি দিতে পেরেছেন? এই জেলায় কংগ্রেস একটাও সিট পেল না কেন? অথচ উনি মাঝে মধ্যে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বিরুদ্ধে লড়াই করুক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বিরুদ্ধে লড়াই করুক। আসলে আপনার লড়াই করার ক্ষমতা নেই। বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করে আপনার সিটটি পাকা করছেন। প্রতিদানে বিজেপিকে দু’টি বিধানসভা উপহার দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদের মুসলমান সমাজ আপনাকে বিশ্বাস করেছিল। আপনাকে অধীর চৌধুরী বানিয়েছিল। কিন্তু সেই মুসলমান সমাজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। ২০০৮ সালে আপনি প্রেস মিট করে বলেছিলেন, এই জেলায় সিপিএমের হাতে ৭৮২ জন কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছে। তাদের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছিলেন। সেই সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাস্তে হাতুড়ি আঁকা উত্তরীয় গলায় ঝুলিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গেলেন। আপনার লজ্জা লাগল না? আমাদের লাগে। সিপিএমের হাতে খুন হওয়া সেই সব বন্ধুদের জন্য বুকে লাগে। দিল্লিতে আমরা ইন্ডিয়া জোটে থাকলেও এখানে সিপিএমের ভরসায় থাকা কংগ্রেসের সঙ্গে আমরা থাকতে পারব না। বরকত সাহেব সিপিএমকে ছুড়ে ফেলে দিতে বলেছিলেন। বরকত সাহেবের কংগ্রেস সিপিএমের হাত ধরেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএমকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। সিপিএম, বিজেপির দালাল অধীর চৌধুরী সিপিএমকে হাত ধরে নিয়ে আসতে চাইছে। তিনি আরও বলেন, এনআরসি, ক্যা হলে আমাদের ভুগতে হবে। এর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করছেন। এখানকার দালালরা প্রতিবাদ করছে। কারণ তাদের ভয় আছে প্রতিবাদ করলে ইডি, সিবিআই লেগে যাবে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘আবকে বার দুশো পার’, আপনারা ওঁকে পগার পার করে দিয়েছেন। এবার বলছেন ৩৫। আমরা বলছি পুরো ফিনিশ। প্রধানমন্ত্রীর ১৫ লক্ষ টাকার ১ টাকাও কারও অ্যাকাউন্টে না ঢুকলেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে এক হাজার টাকা করে ঢুকেছে। এদিনের নির্বাচনী জনসভায় ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী খলিলুর রহমান, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। জনসভায় কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। • নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)