• ১০ বছরে বেহাল দশা শ্রমিকদের: কংগ্রেস
    বর্তমান | ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মোদি জমানায় গত ১০ বছরে শ্রমিকদের বেহাল দশা হয়েছে বলেই দাবি করল কংগ্রেস। দলের মুখ্য মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, সরকারেরই বিভিন্ন তথ্য বলছে, নরেন্দ্র মোদির শাসনকালে শ্রমজীবী মানুষের রোজগারের ওপর আঘাত এসেছে। কমেছে ক্রয় ক্ষমতা। অথচ কংগ্রেস-ইউপিএ জমানায় (২০০৪-১৪ সাল) তা বেড়েছিল। এবারও কংগ্রেস তথা ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে ফের সুখের দিন দেখতে পাবেন শ্রমিকরা, এমনটাই দাবি কংগ্রেসের। 

    জয়রাম বলেছেন, মনমোহন সিংয়ের সময়ে কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের মজুরি বছরে বেড়েছিল গড়ে ৬.৮ শতাংশ। আর মোদি জমানায় তা বছরে কমেছে গড়ে ১.৩ শতাংশ। কৃষিমন্ত্রকের তথ্য ঘেঁটেই এর সন্ধান মিলেছে। একইভাবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও মোদি জমানা পিছিয়ে রয়েছে মনমোহনের চেয়ে। কংগ্রেসের দাবি, ইউপিএ আমলে ১০ বছরে গড়ে বিনিয়োগ হয়েছিল জিডিপির ৩৩.৪ শতাংশ। মোদি জমানায় তা ২৮.৭ শতাংশ। ম্যানুফাকচারিংয়ে বিনিয়োগ জিডিপির ১৬.৫ শতাংশকে নরেন্দ্র মোদি নামিয়েছেন ১৪.৫ শতাংশে। শ্রমিকদের মজুরি, বিনিয়োগ, ক্রয় ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে কংগ্রেস আমলে সার্বিক জিডিপি ছিল সাড়ে সাত শতাংশ। আর মোদি সেটি নামিয়ে এনেছেন ৫.৮ শতাংশে। মোদির ব্যর্থতা তুলে ধরে ভোট পর্বে ভোটারদের বিজেপি বিরোধী ভোটবাক্স ভরানোর উদ্যোগ নিয়েছে কংগ্রেস। প্রচার করা হচ্ছে যুব সমাজের জন্য কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি। 

    কং-সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেছেন, প্রতি বছরে দু কোটি চাকরি দেবেন বলে ২০১৪ সালে প্রচার করেছিলেন মোদি। তা তো হয়ইনি। উল্টে গত ১০ বছরে ১২ কোটি লোকের চাকরি ছিনিয়ে নিয়েছেন। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সরকারি চাকরিতে ৩০ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-২১ খেলোয়াড়দের প্রতি মাসে দেবে ১০ হাজার টাকা বৃত্তি। বেকার যুবকদের ব্যবসায়ে উৎসাহ দিতে হবে পাঁচ হাজার কোটি টাকার স্টার্ট-আপ তহবিল। তাই তরুণ ভোটারদের কাছে খাড়্গের স্লোগান, অমল করেঙ্গে অপনি হর বাত/হাত বদলেগা হালাত।
  • Link to this news (বর্তমান)