'কঠোর রায়', হাইকোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে SSC
এই সময় | ২২ এপ্রিল ২০২৪
SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে। এবার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানান, SSC-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি বলেন, 'অনেকে চাকরি করছিলেন। সমস্ত নিয়োগ বাতিল। আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি।'এবার এসএসসির চেয়ারম্যান প্রশ্ন তোলেন, 'CBI দেড় বছর তদন্ত করে ৫০০০ জনের বিষয়ে গরমিল পেয়েছে। তার রিপোর্ট এসএসসি ও আদালতে দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে শুনানি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সেটাই স্পেশাল বেঞ্চে বিবেচনার জন্য পাঠায়। এখন কেন ২৫ হাজারের চাকরি বাতিল করা হল?'
তিনি এই রায়কে 'কঠোর' বলেন। তবে সিদ্ধার্থ স্পষ্ট জানান, এখনও পর্যন্ত তিনি রায়টি পড়ে দেখেননি। তা পড়ার পর আইনজীবীদের সঙ্গে এই বিষয়ে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁর সংযোজন, পুরো রায় পড়়ে দেখার আগে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তিনি এদিন বলেন, 'পুরো রায়টা না পড়া পর্যন্ত বুঝতে পারব না। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই রায় কঠোর।'
SSC-র চেয়ারম্যান বলেন, 'আমার সুপার নিউমেরারি পোস্টে যাঁদের নিয়ে তদন্ত তাঁদের একজনকেও সুপারিশ করা হয়নি। এক্ষেত্রে ফিজিক্যাল এডুকেশন এবং ওয়ার্ক এডুকেশন, যা তদন্তের আওতাধীন নয়, তাদের মধ্যে ১২৮০ জনকে সুপারিশ করা হয়েছিল।'
তিনি আরও বলেন, 'OMR সংক্রান্ত অভিযোগ, র্যাঙ্ক জাম্পিংয়ের অভিযোগ আমরা আলাদা করে মহামান্য আদালতকে জানিয়েছি। OMR শিট -এর পুর্নমূল্যায়ন করার বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়েছি কিনা আমি জানি না। শুনানি চলাকালীন মহামান্য আদালত কখনও কখনও বলেছে আমরা করতে পারব কিনা। আমাদের কাছে CBI-এর কাছ থেকে হার্ড ডিস্ক মারফত এসেছে তা রয়েছে। বাকি যে কিছু নেই, তা সকলের জানা।'
সিদ্ধার্থর কথায়, 'প্রায় ৩০০ পাতার রায়। বহু পয়েন্ট তার মধ্যে রয়েছে। এদিন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি বিচারপতি পড়ে শোনান। তা আইনজীবীরা শুনেছেন। তার উপরে ভিত্তি করে বলছি।' স্বাভাবিকভাবেই SSC-র এই সিদ্ধান্ত অনেকটাই স্বস্তি ফেরাচ্ছে চাকরিহারাদের এখন দেখার সর্বোচ্চ আদালত এই প্রসঙ্গে ঠিক কী নির্দেশ দেয়।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার এই রায় নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিরোধীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন।