'সুপ্রিম কোর্ট ৫ মিনিটে স্টে করবে', হাইকোর্টের SSC রায়ে মত আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এই সময় | ২২ এপ্রিল ২০২৪
নির্বাচনের মাঝেই ঘোষণা হল এসএসসি মামলার রায়। সোমবার এই মামলার রায় ঘোষণা করে, বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। রায়ে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে যাঁরা বেআইনি নিয়োগের ফলে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের চার সপ্তাহের মধ্যে বেতনও ফিরিয়ে দিতে হবে। এবার রায়ের প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন আইনজীবী তথা তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।এই সময় ডিজিটালকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'জাজমেন্ট ইস কমপ্লিটলি ইরোনিয়ার। দ্য হাইকোর্ট হ্যাস ফেইলড টু আন্ডারস্ট্যান্ড দি পয়েন্ট ইনভলভড ইন দ্য ম্যাটার। আমি খুবই আশা করি যে সুপ্রিম কোর্ট এটা ৫ মিনিটে স্টে করবে।' একইসঙ্গে নির্বাচনে এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও মনে করছেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ মামলার প্রথম পর্যায়ে ছিলেন না কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তিনি এই মামলা লড়তে শুরু করেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে তিনি চাকরিপ্রাপকদের হয়ে সওয়াল করেন। একটা সময় প্রাক্তন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন কল্যাণ। প্রশ্ন তুলেছিলেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ নিয়েও। সিবিআই যে প্রক্রিয়ায় এসএসসি মামলার তদন্ত করেছে, তার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন কল্যাণ।
এদিন রায়ের পর মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামীম বলেন, 'যাঁরা যাঁরা বেআইনি নিয়োগের ফলে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের চার সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফিরৎ দিতে হবে, আর ৬ সপ্তাহের মধ্যে তা উদ্ধার করতে হবে।' ফিরদৌস শামীম আরও জানান, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম - দশম শ্রেণি ও একাদশ - দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। গোটা বিষয়টিতে নজর রাখতে বলা হয়েছে DI-দের। এদিন মোট ২৮১ পৃষ্ঠার রায় পড়েন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। রায়কে একাধিক অংশে ভাগ করা হয় ডিভিশন বেঞ্চের তরফে।
পূর্ব নির্ধারিত সময়মতো সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টে SSC মামলার রায় পড়তে শুরু করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। ২৮১ পাতার রায়ে রয়েছে মোট ৩৭০টি অনুচ্ছেদ। এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা গ্রহণযোগ্য বলেই পর্যবেক্ষণ আদালতের। রায়ে ২০১৬ সালের বিতর্কিত গোটা প্যানেলই বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানান হয়। তার ফলে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগ বাতিল বলে জানাল কলকরাতা হাইকোর্ট। তবে সোমা দাস নামে এক চাকরিপ্রাপকের চাকরি থাকবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। কারণ, তিনি ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। তাই মানবিক কারণেই তাঁর চাকরি বহাল রেখেছে উচ্চআদালত।
এদিকে রায়দানকে কেন্দ্র করে যাতে কোনওরমক অশান্তি বা গণ্ডগোলের সৃষ্টি না হয়, তার জন্য কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় গোটা আদালত চত্বর।