• Everest Masala News: মশলা থেকে ক্যানসারের ঝুঁকি! সিঙ্গাপুরের পর হংকংয়ে নিষিদ্ধ MDH-এভারেস্ট
    এই সময় | ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • সিঙ্গাপুরে আগেই নিষিদ্ধ হয়েছিল। এবার সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হল MDH ও এভারেস্ট মশলা। অভিযোগ উঠেছিল MDH ও এভারেস্টের ফিস কারি মশলায় মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর তা হংকং প্রশাসন খতিয়ে দেখে। এরপর এই দুই সংস্থার মশলাকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।কেন নিষিদ্ধ দুই কোম্পানির মশলা?

    হংকং প্রশানের সেন্টার ফর ফুড সেফটির তরফে ঘোষণা করা হয়েছে MDH-এর তিনটি মশলা মাদ্রাজ কারি পাউডার, সম্ভার মশলা পাউডার ও কারি পাউডারের মধ্যে ও এভারেস্টের ফিশ কারি মশলায় কীটনাশক ও ইথিলিন অক্সাইডের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই রাসায়নিক দিনের পর দিন শরীরের গেলে ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে। তিনটি দোকান থেকে মশলার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল সেন্টার ফর ফুড সেফটির তরফে। সেই নমুনার মধ্যেই এই কীটনাশ ও ইথিলিন অক্সাইডের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। তারপরেই সব দোকান থেকে সেন্টার ফর ফুড সেফটি মশলা বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে এই সব দোকানে।

    কয়েক দিন আগেই একি রকম ঘটনা ঘটেছিল সিঙ্গাপুরে। সিঙ্গাপুরের খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে বলা হয়, হংকংয়ের খাদ্য নিরাপতক্তা সংস্থার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এভারেস্টের ফিশ কারি মশলায় উচ্চ মাত্রা ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে, এই রাসায়নিক শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এভারেস্টের ফিস কারি মশলার উপর। সিঙ্গাপুরের খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা (সিঙ্গাপুর ফুড এজেন্সি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত নয় খাদ্যপণ্যে। যাঁরা এই মশলাটি ব্যবহার করেছেন চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া উচিত তাঁদের ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত।

    একটি বিবৃতি জারি করে, সিঙ্গাপুর ফুড এজেন্সি জানিয়েছে যে সেন্টার ফর ফুড সেফটি এভারেস্ট ফিস কারি মশলা ফেরত দেওয়ার জন্য জারি করেছে একটি বিজ্ঞপ্তি। এতে ইথিলিন অক্সাইড নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি রয়েছে। এই মশলা ব্র্যান্ডটির পণ্য সিঙ্গাপুরের এসপি মুথিয়া অ্যান্ড সন্স পিটিই লিমিটেড আমদানি করে। এসএফএ কোম্পানিকে এই প্রোডাক্ট তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্র্যান্ডও পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে। এভারেস্টের তরফে বলা হয়েছে, এটি একটি ৫০ বছরের পুরনো নামী ব্র্যান্ড। কোম্পানির সব পণ্য কঠোর পরীক্ষার পরে তৈরি ও রপ্তানি করা হয়। এই প্রোডাক্ট পাঠানোর আগে কঠোরভাবে পরিচ্ছন্নতা এবং খাদ্য নিরাপত্তা মান মেনে চলা হয়। এই পণ্যগুলিতে সিল রয়েছে ভারতীয় মশলা বোর্ড এবং FSSAI সহ সব সংস্থার অনুমোদনের। প্রতিটি পণ্য রপ্তানির আগে, প্রোডাক্ট পরীক্ষা করে ভারতের মশলা বোর্ড। বর্তমানে অফিসিয়াল তথ্যের জন্য কোম্পানি অপেক্ষা করছে। মান নিয়ন্ত্রণ দল পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করবে এই বিষয়টি নিয়ে। এরপরই পালটা ব্যবস্থা নিতে পারবে কোম্পানি।
  • Link to this news (এই সময়)