Chhota Rajan Update: বহাল তবিয়তে দাউদের সবচেয়ে বড় শত্রু! প্রকাশ্যে ছবি
এই সময় | ২২ এপ্রিল ২০২৪
বেঁচে আছে দাউদ ইব্রাহিমের চরম শত্রু ছোটা রাজন। বালি বিমানবন্দর থেকে নাটকীয়ভাবে গ্রেফতারের পর ভারতে আসার নয় বছর পর আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজনের প্রথম ছবি প্রকাশ্যে এল। ছবিতে তাকে সুস্থ অবস্থাতেই দেখা গেছে। রাজন বর্তমানে তিহার জেলের ২ নম্বর জেলের একটি উচ্চ নিরাপত্তাযুক্ত সেলে বন্দি আছে। তবে এই ছবির মুক্তি জেলে রাজনের উপর হামলার আশঙ্কাও তাড়া করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে।২০১৫ সালে বিদেশে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে ধরা পড়ে। পরে তাকে ভারতে নিয়ে আসা হয়য়। ২০১৫ সালের পর এটিই তার প্রথম প্রকাশিত ছবি। আপাতত তিহার জেলের ২ নম্বর জেলে বন্দি রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।
এক সময় ছোটা রাজন মোস্ট ওয়ান্টেড আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সবচেয়ে কাচের বলে মনে করা হত। প্রায় দু দশকেরও বেশি সময় পুলিশের চোখে ফাঁকি দেয় রাজন। ১৯৯৩ সালের বোমা বিস্ফোরণের পর দাউদের থেকে আলাদা হয়ে যায় ছোটা রাজন। শুরু হয় দুজনের মধ্যে চরম শত্রুতা। এই শত্রুতার কারণে মুম্বাই, দুবাইও নেপালে বহু মানুষকে খুন করা হয়।
দাউদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছোটা শাকিল এখনো ছোটা রাজনের উপর হামলার পরিকল্পণা করছে বলে জানা গেছে। এই নিয়ে ছোটা শাকিল রাজনকে হুমকিও দেয় যে ছোটা রাজন মনে করে যতদিন সে তিহার জেলে থাকবে ততদিন তার জীবন নিরাপদ। তবে সে তিহারেই মারা যাবে। কারণ রাজনকে তিহার জেলেই মারার হুমকি দেয় ছোটা শাকিল।
২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি থেকে ছোটা রাজনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ২৪ অক্টোবর হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে তার এক শুভাকাঙ্খীকে ফোন করেরাজন। সেই কল নিরাপত্তা সংস্থা ট্যাপ করে। ফোনে রাজন জানিয়েছিল যে অস্ট্রেলিয়ায় আর নিরাপদ নয় তার থাকা খুব তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে যাবে। এরপরই সতর্ক হয়ে যায় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। রাজনের দেশ ছাড়ার ব্যাপারে সতর্ক করে ইন্টারপোলও। ২০১৫ সালের ২৫ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ান ফেডারাল পুলিশ খবরপায় যে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিক বালি যাচ্ছে। ফেডারেল পুলিশ তৎক্ষণাৎ ইন্টারপোলের মাধ্যমে বালি ইমিগ্রেশন বিভাগকে অবহিত করে এবং বিমানবন্দরেপৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে ছোটা রাজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর রাজন জানায় তার মারার চেষ্টা করছে দাউদের ডি কোম্পানি।
ছোটা রাজনকে ভারতে আনার পিছনে সিবিআই, ইন্টালিজেন্স ইউনিট এবং মুম্বই ক্রাইমব্রাঞ্চের বড় ভূমিকা ছিল। ২০১৫ সালের ৬ নভেম্বর সকলে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে একটি বিশেষ বিমানে বালি থেকে দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে আনা হয়। বিমান থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের মটিতেপ্রথম চুম্বন করে রাজন।
বিমান থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের মাটিতে প্রথম চুম্বন করেন রাজন।