• ভারতের সংবিধানে বড় প্রভাব ফেলতে পারে সিএএ! আশঙ্কা আমেরিকার
    এই সময় | ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-র কিছু বিধান লঙ্ঘন করতে পারে ভারতীয় সংবিধান। মার্কিন কংগ্রেসের একটি স্বাধীন গবেষণা শাখার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।সিএএ যা ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনকে সংশোধন করে, এটি সংসদ দ্বারা অনুমোদনের প্রায় চার বছর পরে মার্চ মাসে প্রয়োগ করা হয়েছিল। এটি পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগনিস্তান থেকে আসা নথিবিহীন অমুসলিম অভিবাসীদের নাগরকত্ব প্রদানের পথ প্রশস্থ করে যারা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে ভারতে এসেছিলেন।

    কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের রিপোর্ট অনুসারে, ‘সিএএ-র মূল বিধানগুলি তিনটি দেশের ছয়টি ধর্মের অভিবাসীদের মুসলমানদের বাদ দিয়ে নাগরিকত্বের পথের অনুমতি দেওয়া ভারতীয় সংবিধানের কিছু ধারা লঙ্ঘন করতে পারে।’

    প্রতিবেদনটিতে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে যে, একটি পরিকল্পিত জাতীয় নাগরিক পঞ্জি অর্থাৎ NRC এর সাথে মিলিত, CAA ভারতের মুসলিম জনসংখ্যার অধিকারকে বিপন্ন করতে পারে।

    প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে যে, সিএএ-র বিরোধিতাকারীরা ক্ষমতাসীন বিজেপি ‘একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ, মুসলিম বিরোধী এজেন্ডা অনুসরণ করে যা একটি আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র হিসাবে ভারতের মর্যাদাকে হুমকির মুখে ফেলে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের নিয়ম ও বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করে।’

    প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে সিএএ-র বাস্তবায়ন আসলে বিজেপির দ্বিতীয় জাতীয় পুনঃনির্বাচনের প্রচারের মধ্যে এসেছিল এবং কিছু পর্যবেক্ষক সময়টিকে মূলত রাজনীতি দ্বারা অনুপ্রানিত হিসাবে দেখেন।

    সমালোচকদের উদ্ধৃত করে এটি আরও দাবি করে, সিএএ শুধুমাত্র অনুমোদিত ধর্মের সদস্যদের সুরক্ষার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, অন্যদের খুব কম অবলম্বন করা হবে। এইভাবে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ নীতিকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য এবং একজন সিনিয়র পর্যবেক্ষক যাকে বলে সেটাই প্রতিষ্টা করার জন্য মোদি-বিজেপির চেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিআরএস ইউএস কংগ্রেসের একটি স্বাধীন গবেষণা শাখা, কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত গ্রহনে সহায়তা করার জন্য প্রতিবেদন সরবরাহ করে কিন্তু সরকারী কংগ্রেসের মতামতের প্রতিনিধিত্ব করে না।

    এর আগে বাইডেন প্রশাসন ভারতেনাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু ভারত যাবতীয় সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে এবং ধারাবাহিকভাবে সিএএ প্রাথমিকভাবে নাগরিকত্ব প্রদানের লক্ষ্যে অবিচল রয়েছে। একটি বিবৃতিতে কেন্দ্র আশ্বাস দিয়েছে যে এই আইনের ফলে দেশের কোনও নাগরিক তাদের নাগরিকত্ব হারাবেন না।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নারগিকত্ব সংশোধন আইন জারি হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ। এই আইনের বিরোধিতা জানিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। মোট ২৩৭টি আবেদন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে। জম পড়া আবেদনগুলির মধ্যে বেশিরভাগক্ষেত্রেই সিএএর ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন জমা পড়ে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই আইনে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত।
  • Link to this news (এই সময়)