বিজেপিকে হারাতে আসিনি, মানুষের মন জয় করতে এসেছি : রচনা
এই সময় | ২২ এপ্রিল ২০২৪
লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বিধানসভা ধরে ধরে প্রচার সারছেন তিনি। প্রধান প্রতিপক্ষ তাঁর এক সময়ের অভিনয় জগতের সহকর্মী তথা হুগলির বিদায়ী বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এবার প্রচারের মাঝেই বড় মন্তব্য রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।কী বললেন রচনা?রবিবার হুগলির পান্ডুয়ার বিভিন্ন গ্রামে প্রচার ও জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেন রচনা। রীতিমতো শোভাযাত্রা সহকারে চলে প্রচার। ধামসা মাদলের ছন্দে আদিবাসীদের নাচ এবং ব্যান্ড পার্টি সহ প্রচারের আয়োজন করা হয়। তীব্র দাবদাহে জামনা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে প্রচার করেন রচনা। একসময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে রচনা বলেন, 'আমি বিজেপিকে হারাতে আসিনি, মানুষের মন জয় করতে এসেছি। মানুষ যাঁকে চাইবেন, তাঁর পাশে থাকবেন।' একইসঙ্গে এই প্রচণ্ড গরমের প্রচার চালাতে কষ্ট হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তের রচনা বলেন, 'কিছু করার নেই, প্রতিদিন প্রচারে আসতে হবে, গরম মেনে নিতে হবে। শীতকালে ঠান্ডা হবে, গরমকালে গরম হবে।'
নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ লকেটেরএদিকে এরই মাঝে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন হুগলির বিজেপি লকেট চট্টোপাধ্যায়। রবিবার হুগলি বিজেপি জেলা কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমকে লকেট জানান, হরিপাল সিঙ্গুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের মানি ব্যাগ দিচ্ছে তৃণমূল। তবে ব্যাগে কী ছিল তা মহিলারা বলতে চাননি। লকেটের অভিযোগ, টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাইছে তৃণমূল। লকেট বলেন, 'ব্যাগে লেখা আছে নববর্ষের উপহার। এই রকম উপহার তো অনেকেই দিতে পারে। কিন্তু এখন নির্বাচন আচরণ বিধি চালু আছে। সেই বিধি ভঙ্গ করা হয়েছে। আমরা কমিশনে নালিশ জানাব।'
যদিও লকেটের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। এই বিষয়ে হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের চেয়ারপার্সন তথা ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, 'লকেট চট্টোপাধ্যায় তো বলবেনই, কারণ তিনি তো মানি দিয়ে ভোট কেনেন। ২০১৯ সালে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছিলেন। আবার ২০২৪ সালে ছেলেদের টাকা দিয়ে ভোট কিনছে।' অসীমা আরও বলেন, 'তৃণমূলকে মানুষকে টাকা দিয়ে ভোট কিনতে হয় না। কারণ পশ্চিমবঙ্গের জনগণ মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে যা প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে, তাতে তারা উন্নয়নেই ভোট দেবে। তাই তৃণমূলকে টাকা দিতে হয় না। বিজেপির গাড়ি থেকেই টাকা পাওয়া যাচ্ছে। বিজেপি ধমকে চমকে হাজার হাজার কোটি টাকা তাদের ফান্ডে নিচ্ছে, এটা তৃণমূলের প্রয়োজন হয় না।'