• SSC: হাইকোর্টের রায়কে সামনে রেখে জনতার রায় পেতে ঝাঁপাচ্ছেন বিরোধীরা, নতুন কোনও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তৈরি হচ্ছেন কিনা প্রশ্ন তৃণমূলের ...
    আজকাল | ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: চড়া গরমের মধ্যে রাজ্যে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠল লোকসভা নির্বাচনের রাজনীতি। সপ্তাহের প্রথমদিনেই উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাতিল হয়েছে ২৬ হাজারের কাছাকাছি চাকরি। সেইসঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে যারা চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে। ১২ শতাংশ সুদ-সহ এই টাকা ফেরতের সময়সীমাটা চার সপ্তাহ বলে জানিয়েছে আদালত। সন্দেহ নেই, সোমবারের এই নির্দেশ রাজ্যে বাকি ছয় পর্যায়ের ভোট প্রচারে বিরোধীদেরকে আরও উৎসাহী করে তুলল। এই বিষয়ে খোলাখুলিভাবেই রাজ্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, "চোর চিনিয়ে দেওয়াটাই আমাদের কাজ। ফলে বিজেপি এটা নিয়ে জোরদার প্রচারে নামবে।" ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বলেন, "তৃণমূলের এই চুরি এবং তার বিরুদ্ধে আদালতের এই নির্দেশকে আমরা সর্ববৃহৎ ন্যায়ের জয় বলে আমরা মনে করি। এটা একটা ঐতিহাসিক রায়।‌ যাদের চাকরি যাচ্ছে ও টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে তাঁদের উচিত অবিলম্বে টাকা খাওয়া তৃণমূল নেতাদের চেপে ধরা। তৃণমূলের এই চুরি নিয়ে যে আলোচনা সেখানে আরও একটা সিলমোহর পড়ল।" ভোটের ময়দানে এর প্রভাব কি আদৌ পড়বে? সিপিএম নেতা কৌস্তুভ চ্যাটার্জির মতে," অবশ্যই পড়বে। যারা তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের কালকে সকালের মধ্যে ওই সমস্ত নেতাদের বাড়িতে টাকা ফেরত চাইতে যাওয়া উচিত। পাশাপাশি এটাও বলছি সবাই দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন এটাও আমি বিশ্বাস করি না। যারা নিজেদের মেধার জোরে চাকরি পেয়েছেন তাঁদেরকেও বিপদের মধ্যে ঠেলে দিল এই তৃণমূল সরকার। কেন এই ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া আর মেধার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়াদের তালিকা আলাদা করে রাজ্য সরকার দিল না? কেন এখনও পর্যন্ত পার্থ চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হল না? এটা কি তৃণমূল-বিজেপির সেটিং নয়?" গোটা বিষয়টির পেছনে "রহস্য" লুকিয়ে আছে বলে মনে করেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "প্রথমত আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করব। শ্রম আইন অনুযায়ী কোনও মানুষকেই বেগার খাটানো যায় না। এঁরা এতদিন শ্রম দিয়েছেন। এতদিন শ্রম দেওয়ার পর এখন যদি তাঁদের বলা হয় টাকা ফেরত দিতে তবে যেই কারণে এর আগেরবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় খারিজ হয়ে গেছিল সেই একই কারণে এই রায়টাও খারিজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি এই সময় করা হল কারণ, শুভেন্দু অধিকারী দু"দিন আগেই বলেছেন সপ্তাহের শুরুতে বোমা ফাটবে। তিনি কি জানতেন যে এই রায়টাই আসতে চলেছে? আমরা বিচার ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু কয়েকজন বিচারপতি এর আগে যে কাজ করেছেন তাতে কিন্তু এই সন্দেহটাও আসে আর কেউ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তৈরি হবেন না তো?"
  • Link to this news (আজকাল)