• তাপপ্রবাহ আরও তীব্র ৮ জেলায়, বাঁকুড়ায় ৪৪.৫, এরকম আর কত দিন? হাওয়া অফিসের স্পেশাল বুলেটিন
    Aajtak | ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • ভয়াবহ গরম বললেও কম বলা হয়। আজ রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি গরম বাঁকুড়ায়। তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে সেখানে। সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৬.১ ডিগ্রি বেশি। দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতেও একই পরিস্থিতি। হাঁসফাঁস গরম থেকে আপাতত মুক্তি নেই। ভয়াবহ তাপপ্রবাহ চলছে জেলায় জেলায়। শনিবার কলকাতায় ভ্যাপসা গরম-সহ রাজ্যের ৮ জায়গায় চলল তাপপ্রবাহ। ওই জেলাগুলি সাক্ষী থাকল তীব্র তাপপ্রবাহের। বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া পশ্চিম, উত্তর ২৪ পরগণা তাপপ্রবাহ থেকে গুরুতর তাপপ্রবাহের জ্বলছে দিনভর।

    এই পরিস্থিতির এখনই কোনও বদল নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এরকমই পরিস্থিতি থাকবে ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার পর্যন্ত।  আগামী দুদিনে দিনের তাপমাত্রায় কোনও বড় পরিবর্তন হবে না। বরং ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ন্যূনতম আপেক্ষিক আর্দ্রতা ২৫ -৪০% এর মধ্যে হতে পারে। তবে আশার কথা যে, ইতিমধ্যেই তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেয়েছে ডায়মন্ড হারবার, দিঘা, বহরমপুর, সল্টলেক, কাঁথি, হলদিয়া, ঝাড়গ্রাম, কল্যাণী, সাগরদ্বীপ, বসিরহাট। 

    সাধারণত কোনও এলাকার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে সাড়ে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্বাভাবিকের থেকে সাড়ে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা থাকলে বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ।
    এই তাপপ্রবাহ থেকে আপাতত স্বস্তি নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজ্যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি জারি থাকবে শুক্রবার পর্যন্ত। গত ৫০ বছরের আবহাওয়ার ইতিহাস বলছে, ১৯৮০ সালে এক বার কলকাতায় ৪১.৭ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছিল কলকাতায় এপ্রিলের তাপমাত্রা। এর পর ২০১৬ সালেও তাপমাত্রা ৪১-এ পৌঁছয়। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে কলকাতায় তাপমাত্রা হয়েছিল ৪১ ছুঁইছুঁই। এ বারও সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত কলকাতার এ বারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৯ এপ্রিল)।

    তবে উত্তরের দু’একটি জায়গায় বৃষ্টিও চলবে। যদিও তাতে তাপমাত্রা খুব একটা কমবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গে এখনই বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।  তাঁরা তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে কী কী করণীয়, তাও বিশেষ বুলেটিনে জানিয়েছেন।

    সম্ভাব্য প্রভাব:১. তাপ সম্পর্কিত অসুস্থতার উচ্চ সম্ভাবনা এবং হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা। যাদের রোদে বেরোতে হয়, তাঁদের ঝুঁকি বেশি। দীর্ঘ সময় বা ভারী কাজ করা মানুষেরও সমস্যা। দুর্বল মানুষের জন্য খুব উচ্চ স্বাস্থ্য উদ্বেগ রয়েছে। যেমন শিশু, বয়স্ক, দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা।
    ২. হিট ক্র্যাম্প, তাপ ফুসকুড়ি।
    যা করবেন-
    ১. দুর্বল মানুষদের জন্য যত্ন প্রয়োজন।
    ২. সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ তাপের এক্সপোজার এবং বাইরের কাজ এড়িয়ে চলুন।
    ৩. হালকা রঙের, ঢিলেঢালা, সুতির কাপড় পরুন। মাথা ঢেকে রাখুন।
    ৪. জলশূন্যতা এড়াতে তৃষ্ণার্ত না হলেও পর্যাপ্ত জল পান করুন।
    ৫. ওআরএস ব্যবহার করুন, ঘরে তৈরি পানীয় যেমন লস্যি, তোরানি (ভাতের জল), লেবুর জল, ঘোল ইত্যাদি। যা শরীরকে রি-হাইড্রেট করতে সাহায্য করে।
    ৬. হিট স্ট্রোক, হিট র‌্যাশ বা হিট ক্র্যাম্প যেমন দুর্বলতার লক্ষণ চিনুন। মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, ঘাম এবং খিঁচুনি। আপনি যদি অজ্ঞান বা অসুস্থ বোধ করেন, অবিলম্বে ডাক্তার/হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

     
  • Link to this news (Aajtak)