• ২০১৬ সালের সমস্ত নিয়োগ বাতিল, নির্দেশ হাইকোর্টের
    বর্তমান | ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২০১৬ সালের এসএসসির সমস্ত নিয়োগ বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রায় ২৪ হাজার জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৩৮১ পাতার রায়দান করে হাইকোর্ট। অন্যদিকে এই রায়কে এই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। আজ কলকাতা হাইকের্টের নির্দেশ অনুযায়ী, নতুন করে এবং স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, যাঁরা অবৈধভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের জনগণের টাকা থেকে বেতন দেওয়া হয়েছে। ফলে অবৈধভাবে ওই চাকরি প্রাপকদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরত দিতে হবে। সুদ-সহ সেই বেতন ফেরত দিতে হবে সকলকে। বছরে ১২ শতাংশ সুদের হারে ফেরত দিতে হবে টাকা। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে এই বেতন ফেরতের নির্দেশ কার্যকর করবেন ডিআইরা। এছাড়া এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওএমআর শিট এসএসসির ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। যেগুলি এখনও আপলোড করা হয়নি সেগুলি দ্রুত আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উত্তরপত্র যাতে জনগণ দেখতে পান সেই ব্যবস্থাও করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আদালত জানিয়েছে, এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। যাকে প্রয়োজন তাকেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে তারা। যারা অতিরিক্ত পদ তৈরির মধ্যে যুক্ত ছিল তাঁদেরকে অবিলম্বে খুঁজে বার করতে হবে। এর আগে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় প্রচুর অযোগ্য শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখন রাজ্য সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। গত ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টে গঠিত হয় বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শাব্বার রাশিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানে এসএসসি মামলার শুনানি শুরু হয় গত ডিসেম্বর মাস থেকে। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালে রাজ্যে সরকারি স্কুলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তৎকালীন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি ছাড়াও জেলবন্দি রয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট ব্যক্তি।
  • Link to this news (বর্তমান)