• "এই রায় বেআইনি, ভয় পাবেন না ১০ লাখ চাকরি তৈরি আছে"
    ২৪ ঘন্টা | ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাশে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চাকরি বাতিলের নির্দেশ বেআইনি। এই নিয়ে শীর্ষ আদালতে যাবেন তিনি। আরও ১০ লক্ষ চাকরি তৈরি আছে। এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ২০১৬ পুরো প্যানেলের চাকরি বাতিলের নির্দেশের প্রেক্ষিতে চাকুলিয়ার সভা থেকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। মমতা বলেন, "আমরা লড়াই করব। যাঁদের চাকরি বাতিলের কথা বলা হল, তাঁরা হতাশ হবেন না। চিন্তা করবেন না। কেউ জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। যতদূর লড়াই করার আমরা লড়াই করব।"হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন,"রায় নিয়ে বলার আমার অধিকার রয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি বাতিল মানে প্রায় দেড় লক্ষ পরিবার। বলেছে আট বছরের চাকরি টাকা ৪ সপ্তাহের মধ্যে সব টাকা ফেরত দিতে হবে। এটা সম্ভব? যাঁরা এই রায়টা দিচ্ছেন, সারা জীবন যাঁরা চাকরি করলেন, তাঁদের যদি টাকা ফেরত দিতে বলা হয়, পারবেন দিতে? আপনাদের সম্মান করি। কিন্তু এই রায় বেআইনি। সেই জন্যই চ্যালেঞ্জ করছি। আমরা এই রায় নিয়ে উচ্চ-আদালতে যাচ্ছি।" এরপরই মুখ্য়মন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন,"যাদের চাকরি গেল, তারা চিন্তা করবেন না। হতাশ হবেন না। কেউ জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। যখন বিপদে পড়বেন আর কেউ না থাকলেও আমি আছি। আরও ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি রেডি আছে।" একইসঙ্গে এই রায় নিয়ে নাম না করে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও কড়া আক্রমণ করেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বলেন, "বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে গেল একজন। তাঁর অর্ডার ছিল এটা। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল। বলেছিল নতুন ডিভিশন বেঞ্চে আলোচনা হোক। কিন্তু কাকে নিয়ে হবে নতুন ডিভিশন বেঞ্চ? আমি বিচারপতিদের নিয়ে বলছি না। কিন্তু এই রায় বেআইনি।" প্রসঙ্গত, এদিন এসএসসি মামলার ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। ৩৫০টি মামলার আবেদন। ২৮০ পাতার রায়ে ৩৭০টি প্যারাগ্রাফ রয়েছে। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে পুরো প্যানেল ‘নাল আন্ড ভয়েড’। পুরো নিয়োগ বাতিল করা হল। চাকরি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ৪ মাসের মধ্যে সুদ সমেত টাকা ফেরত পাঠাতে হবে। তবে সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে যে ওএমআর শিট নষ্ট করার আগে স্ক্যান কপি রাখা হয়নি। ২৩ লক্ষ মোট চাকরি পরীক্ষার্থী। ২০১৬ সালে ২৪,৬৪০ শূন্যপদে নিয়োগ এসএসসির। কিন্তু ২৫,৭৫৩টি নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়েছিল। অর্থাৎ শূন্যপদের থেকে ১১১৩ জনকে বাড়তি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। আর সেটাই এবার হাইকোর্টের কড়া নজরে। রাজ্যের কারা যুক্ত এই সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করায়, সেটা নিয়ে সিবিআইকে তদন্ত করতে হবে। নির্দেশ হাইকোর্টের। বেআইনি নিয়োগ আটকাতেই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল বলেই আদালতের পর্যবেক্ষণ।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)