গ্রামে নেই নলকূপ, সারা বছরই জলকষ্ট, নদীর বালি খুঁড়ে জল সংগ্রহে গ্রামবাসীরা!
২৪ ঘন্টা | ২২ এপ্রিল ২০২৪
মনোরঞ্জন মিশ্র: গ্রামে নেই নলকূপ। সারা বছরই জলকষ্ট লেগেই থাকে। গ্রীষ্মে তা প্রবল আকার ধারণ করে। আজও নদীর বালি খুঁড়ে জল সংগ্রহ করে পান করেন গ্রামবাসীরা। এছাড়াও নেই গ্রামে প্রবেশের পাকা রাস্তাও। ঘটনা পুরুলিয়ার ঝালদার মাঠারী খামার অঞ্চলের পাঁড়রী গ্রামের কুমারডি টোলার। প্রায় ৮টি পরিবারের বসবাস এই টোলায়। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের বাস। গ্রামে প্রথম থেকেই কোনও নলকূপের ব্যবস্থা নেই।
তাই কয়েক কিমি দূরে জঙ্গলের মাঝে রাস্তা দিয়ে গিয়ে নদীর পাড় থেকে মাটি খুঁড়ে জল সংগ্রহ করে তা পান করেন গ্রামবাসীরা। গ্রীষ্মে জলস্তর নিচে নেমে যাওয়ায় জল সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে ওই এলাকায়। তাই গ্রীষ্মের সময়টিতে PHE দফতরের পক্ষ থেকে সাময়িক সমস্যা সমাধানের জন্য ট্যাঙ্কারে করে একবেলা জল সরবরাহ করা হয় ওই গ্রামে। কিন্তু সেই জল পর্যাপ্ত নয় গ্রামবাসীদের।তাদের দাবি, গ্রামে স্থায়ীভাবে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান ব্যবস্থা করা হোক। অন্যদিকে, গ্রামে প্রবেশের পাকা রাস্তাও নেই। বন দফতরের জমির উপর এবড়ো খেবড়ো রাস্তা দিয়ে হাট বাজার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন গ্রামবাসীরা। তাই পানীয় জল এবং রাস্তার সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার আবেদন জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু সুরাহা হয়নি কিছুই। তাই সেই বঞ্চনাকে মেনে নিয়ে এভাবেই জীবনযাপন করছেন গ্রামবাসীরা।বিষয়টি নিয়ে মাঠারী খামার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মাধুরী সিং মুড়া বলেন, ওই এলাকায় নলকূপ খননের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু জল বেরোয়নি। বোরিং সফল হয়নি। এছাড়াও ওই গ্রামের চারপাশে বন দপ্তরের জায়গা রয়েছে। তাই রাস্তার কাজ করতেও সমস্যা হয়েছে। তবে লোকসভা নির্বাচনের পরে এইসব সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হবে।এ বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, জল জীবন মিশন কেন্দ্রীয় প্রকল্প। বিষয়টি বিজেপি সাংসদের দেখা উচিত ছিল। তিনি দেখেননি বলে এই সমস্যা রয়ে গেছে। বহু গ্রামে এখনও সরকারি ভাবে পাকা রাস্তা না থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তিনি। পাল্টা পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধীদের কাজ করতে দিচ্ছে না। কেন্দ্রের জল জীবন মিশনের কাজ হচ্ছে না এলাকায়। তাই এই সমস্যা রয়ে গেছে। এই বঞ্চনার জবাব নির্বাচনে জেলার মানুষ দেবেন।