সবার চাকরি বাতিল হলেও, বেঁচে গেল সোমা দাসের! কে এই মেয়ে'
২৪ ঘন্টা | ২২ এপ্রিল ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যে ধাক্কা রাজ্য সরকারের। ২০১৬-র এসএসসি নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া বাতিল। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে ২৫ হাজারেরও বেশি চাকরি বাতিল। নির্দেশ বিচারপতি দেবাংশ বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের। শুধু চাকরি বাতিল নয়। প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরিপ্রাপ্তদের ফেরাতে হবে বেতনও। চার সপ্তাহের মধ্যে সুদ সহ ফেরাতে হবে বেতন। সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়েও কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের। রাজ্য সরকারের কারা, কেন অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করেছিল? তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। নির্দেশ হাইকোর্টের।
তবে মানবিকতার কারণে সোমা দাসের চাকরি বহাল রইল। সোমা দাস ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই সোমাকেই ধরনা মঞ্চ থেকে ডেকে চাকরি দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। সেই সোমার চাকরি 'মানবিক কারণে' বহাল রাখল আদালত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই রোগ নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে এসএসসির নবম-দশম শ্রেণির চাকরিপ্রার্থী হিসেবে কলকাতার গান্ধি মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন করেছিলেন সোমা। বাকি আন্দোলনকারীদের থেকে সোমার বিষয়টা অনেকটাই আলাদা৷ তাই মানবিক কারণেই সোমবার তাঁর চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের এসএলএসটি পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে আদালতের সুপারিশে শিক্ষকতার চাকরি পান সোমা। বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা সোমা দাস দীর্ঘদিন আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আর পাঁচটা সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে ধর্নামঞ্চে বসতেন ক্যানসার আক্রান্ত সোমা। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সোমাকে শিক্ষকতার চাকরির বদলে অন্য সরকারি চাকরি গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সোমাকে। পরে সোমার সঙ্গে কথা বলে তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেন, দ্রুত সোমার চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কলকাতা হাই কোর্টের আবেদনকে মান্যতা দিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) তরফে ব্লাড ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসকে চাকরির সুপারিশপত্র দেওয়া হয়। তার পর তিনি বীরভূমের নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের মধুরা হাই স্কুলে বাংলার শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেন।