'পার্থর পাপের ফল ভুগছে দল', SSC রায়ের পরে বিস্ফোরক কুণাল
২৪ ঘন্টা | ২২ এপ্রিল ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বড় ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের। এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে পুরো প্যানেল ‘নাল আন্ড ভয়েড’। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে যে ওএমআর নষ্ট করার আগে স্ক্যান কপি রাখা হয়নি।কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে পুরো নিয়োগ বাতিল করা হল। হাইকোর্ট জানিয়েছে সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাবে। রাজ্যের কারা যুক্ত সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করা নিয়ে সেটা নিয়েও সিবিআইকে তদন্ত করতে হবে।
আদালতের রায়র আগে সোমবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি লেখেন, ‘শিক্ষক চাকরি মামলা। যেখানে ভুল, অন্যায়, ব্যবস্থা হোক। দোষীরা শাস্তি পাক। কিন্তু, যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি যেন বাধা না পায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আন্তরিক সদিচ্ছা নিয়ে তাদের চাকরির চেষ্টা করেছে। কিছু অন্যায়কে প্রাধান্য দিতে গিয়ে যেন যোগ্যদের অনিশ্চয়তায় ফেলে না দেওয়া হয়। এদের স্বার্থে যা চেষ্টা দরকার, সরকার করেছে। এদের অবিলম্বে চাকরি দরকার। আশা করি আদালতের রায়ে এই চাকরির জট খুলতে সরকারের চেষ্টা মান্যতা পাবে।’বেআইনি নিয়োগ আটকাতে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল বলেই আদালতের পর্যবেক্ষণ। ২৩ লক্ষ মোট চাকরি পরীক্ষার্থী। ২০১৬ সালে এসএসসি নিয়োগ শূন্যপদ ২৪,৬৪০টি। কিন্তু ২৫,৭৫৩টি নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়েছিল। অর্থাৎ শূন্য পদের থেকে ১১১৩ জনকে বাড়তি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল।কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা একটা চক্র তৈরি করে পাপ করে গিয়েছে! ভীষণ ঔদ্ধ্যত্ব দেখিয়েছেন! অনেক আগেই ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। এটা বিরম্বনা, এখন আমাদের ফল ভুগতে হচ্ছে।’তিনি আরও বলেন, ‘ব্রাত্য বসুকে জোর করে সরিয়েছেন শিক্ষা দফতর থেকে। কেন সরিয়েছিলেন এখন বোঝা যাচ্ছে। দলে শুদ্ধিকরণ অনেক আগেই করা উচিত ছিল।’অন্যদিকে কুণাল ঘোষের আরও অভিযোগ, ‘ভোটের আগে বিড়ম্বনা বাড়ানোর জন্য এই রায়। এতদি কেন হল না? অভিজিৎ গাঙ্গুলির চেয়ারে বসে রায় দিচ্ছেন।’এই রায়ের পরে কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় বলেন, ‘১৪ এর দুই জানুয়ারি আমি দলের কোর কমিটির মিটিং-এ বলেছিলাম। হাইকোর্টর এই রায়। মনিটরিং, অনুশাসন কিছুই ছিলনা। বাংলার শিক্ষা কাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে? পুরো দফতরটাই জেলে। আজকের পর মনে হচ্ছে তৃণমূলের কর্মীরা কী করে এবার মানুষের কাছে যাবেন তৃণমূলের প্রাথীদের জন্য।’তিনি আরও বলেন, ‘কুণালের এগুলো জানা উচিত। কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিলনা। এই সিদ্ধান্ত তো মুখ্যমন্ত্রীর ছিল। ১০০ শতাংশ দায় মুখ্যমন্ত্রীর। এতো সব তার নলেজ এর বাইরে? সারাজীবন ছাত্র রাজনীতি করেছি। খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কতবার তো দল কে জানিয়েছি। কাকস্য পরিবেদনা। মানুষ এটা আশা করেনি।’