Housing Complex In Kolkata : সব পেয়েছির আসর যেন এই হাউজ়িংয়ে যেন
এই সময় | ২২ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: রাজারহাট-নিউ টাউনে একেবারে গোড়ার দিকে যে ক'টি আবাসন গড়ে উঠেছিল, তাদের অন্যতম 'পাওয়ার টাওয়ার'। আবাসিকদের প্রাথমিক চাহিদা অনুযায়ী প্রায় সব সুযোগ-সুবিধেই আছে এই আবাসনে। সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার নিরাপত্তারক্ষী, সিসিটিভির নজরদারি, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম, জেনারেটর-সহ নিরাপত্তা ও জরুরি অবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত।এমনকী ১৫ তলা বিল্ডিংয়ে কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজেদেরই স্ট্রেচার, হুইল চেয়ারে তাঁকে নীচে নামানো যায়। প্রয়োজনে অক্সিজেন সাপোর্টের ব্যবস্থাও করে আবাসন কমিটি। এ ছাড়া ডিজ়েল-চালিত পাম্পও আছে। এ সবই মূলত সম্ভব হয়েছে আবাসনের বেশিরভাগ বাসিন্দা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার বা টেকনিক্যাল পার্সন হওয়ায়। এই হাউজ়িং বানিয়েছে সিইএসসি অফিসার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড।
নিউ টাউন অ্যাকশন এরিয়া ১-এ বিজ়নেস ক্লাবের পাশেই এই আবাসন। দু'টি ১৫ তলা টাওয়ারে ৬০টি করে মোট ১২০টি ফ্ল্যাট আছে। লোকেশন এবং এনকেডিএ-র পরিষেবা এতটাই ভালো যে বাসিন্দাদের অভিযোগ কার্যত নেই। আবাসন থেকে হেঁটে নিউ টাউনের অস্থায়ী বাস টার্মিনাল, নির্মীয়মাণ নজরুল তীর্থ মেট্রো স্টেশন, এনকেডিএ বাজারে পৌঁছনো যায়। কাছাকাছি রয়েছে একাধিক শপিং মল, রেস্তরাঁ, মাল্টিপ্লেক্স। 'স্বপ্ন ভোর' সিনিয়র পার্ক, বিজ়নেস ক্লাব, স্মার্ট স্ট্রিটও একদম কাছে।
আবাসন কমিটির চেয়ারম্যান বাসুদেব ঘোষ বলেন, 'দু'টি হাইরাইজ়ের মধ্যে যথেষ্ট দূরত্ব আছে। আবাসনের মধ্যেই আম, জাম, কলার সঙ্গেই নানা ফুলের গাছও আছে। সুইচ টিপে প্রধান গেট খোলা ও বন্ধ করা যায়। এরচেয়ে ভালো পরিবেশ পাওয়া দুষ্কর।'
বাসিন্দা অমিতাভ চক্রবর্তী, সোহম দত্ত, গৌতম সরকাররা জানান, সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের সহাবস্থান ওই আবাসনে। সমস্ত উৎসবও পালিত হয় সকলের অংশগ্রহণে। সবাই মিলে একটা পরিবারের মতো থাকা হয়। কারও কোনও বিপদ হলে ঝাঁপিয়ে পড়েন সকলে। আবাসন সমিতির সম্পাদক বিপ্লব করের কথায়, 'পুজোর সময়ে বাসিন্দারা চাঁদা দেন। এ বাদে অনেকে ডোনেশনও দিয়ে থাকেন। পুজোর পাঁচটা দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কমিউনিটি কিচেনে খাওয়া দাওয়া, হুল্লোড় চলে। মহিলা মহলই মায়ের পুজোর তত্ত্বাবধান করে।'
পাঞ্চালি নন্দী, সুস্মিতা বসু, দেবী চট্টোপাধ্যায়, সোমা মুখোপাধ্যায়ের মতো ২৫-৩০ জন মহিলার একটা টিম আছে আবাসনে। সেই লেডিজ় ক্লাবই পুজো থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আয়োজন করেন। যে কোনও সমস্যাতেও ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁরা।
সব মিলিয়ে সকলে মিলে আনন্দে থাকেন এই পাওয়ার টাওয়ারে। ২০২১ সালে রাজ্য সরকারের (ওয়েস্ট বেঙ্গল কো-অপারেটিভ সোসাইটি) দেওয়া 'সমবায় রত্ন' পুরস্কার পেয়েছে এই আবাসন।