• পচা চাল গছানোর অভিযোগ, পাকিস্তানকে 'দেখে নেওয়ার' হুঁশিয়ারি পুতিনের রাশিয়ার
    এই সময় | ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • চালের চালানে কোয়ারেন্টাইন জীবানু সনাক্ত হয়েছে, আর ততেই ক্ষেপে লাল রাশিয়া। সোজা ভাষায় বলতে গেলে পাকিস্তান থেকে কেনা চালে পোকামাকড় পাওয়া গেছে। যার কারণে রাশিয়া বেজায় ক্ষুব্ধ। চাল রফতানি বন্ধ করার জন্য পাকিস্তানকে রীতিমতো হুমকি দিয়েছে রাশিয়। বলা হয়েছে ফের নষ্ট চাল পাঠালে পাকিস্তানের থেকে চাল কেনা বন্ধ করে দেবে রাশিয়া। আর এই হুমকি রাশিয়ার কাছে চাল বিক্রি করে অর্থ উপার্জনকারী পাকিস্তনের কাছে নিঃসন্দেহে একটা বড় ধাক্কা।রবিবার পাকিস্তানের একটি সংবাদপত্র তাদের এক প্রতিবেদনে বলে যে রাশিয়া বলেছে ভবিষ্যতে পাকিস্তান আবার এমন ভুল করলে তাদের রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হবে। রাশিয়ার ভেটেনারি এবং ফাইটোস্যানিটারি সার্ভিল্যার্ভিন্স পরিষেবা আন্তর্জাতিক এং রাশিয়ান ফাইটোস্যানিটারি প্রয়োজনীয়তা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের থেকে আমদানি করা চালের একটি চালানের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাকিস্তান থেকে আমদানি করা চালে মেগাসেলিয়া স্ক্যালারিস পাওয়া গেছে। মেগাসেলিয়া স্ক্যালারিস একটি মাছি প্রজাতির। পাকিস্তানি দূতাবাস থেকে এমন অভিযোগ জানিয়েছে রাশিয়া। পাকিস্তান থেকে কেনা চালে মাছি পাওয়া যাওয়ার পর FSVPS রাশিয়ায় পাকিস্তানি দূতাবাসের বানিজ্য প্রতিনিধিদের কাছে দাবি করেছিল যে বিষয়টি অবিলম্বে তদন্ত করা উচিত।

    রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ FSVPS নোটিশের একটি অনুলিপি জারি করেছে যাতে পাকিস্তান দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুল না হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

    নোটিশে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় করা পণ্যের গুণগত মান খেয়াল রাখতে হবে। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে পাকিস্তনি দূতাবাসের বানিজ্য শাখা রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের দেওয়া নোটিশটি পাকিস্তনের সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরে পঠিয়েছে। যার মধ্যে উদ্ভিদ সুরক্ষা বিভাগও রয়েছে।

    ডিপিপিকে দূতাবসের পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘উপরের পরিপ্রেক্ষিতে আপনকে অবিলম্বে একটি তদন্ত পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করাহচ্ছে এবং যে ফলাফলই হোক না কেন তা FSVPS-এর সঙ্গে শেয়ার করা যেতে পরে। যাতে ভবিষ্যতে চাল রফতানির সীমবদ্ধতা এড়ানো যায়।’

    এই নিয়ে FSVPS নিজেও ডিপিপির সাথে কথা বলেছে এবং ফসল রক্ষার দাবি জানিয়েছে। ফসলে পোকামাকড় পাওয়া যাওয়ার ভিত্তিতে রাশিয়া ২০১৯ সালে অনুরূপ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, যা দুই বছর ধরে অব্যাহত ছিল। পরে দুইপক্ষের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনর পর এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যহার করা হয়।
  • Link to this news (এই সময়)