• Sikkim First Railway Station : সুড়ঙ্গপথে ছুটবে সিকিমগামী ট্রেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অধরা? ব্যাখ্যা রেলের
    এই সময় | ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে রেল স্টেশন। বাংলা থেকে পাহাড়ি পথে এক ট্রেনেই সোজা পৌঁছে যাওয়া যাবে সিকিমে। সেই অপেক্ষাতেই ভ্রমণপিপাসুরা। ইতিমধ্যেই সেবক-রংপো রেলপথে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি পেরিয়ে এসেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের নীচে খনন করে ফেলা হয়েছে রেলপথ। তবে সিকিম যাওয়ার পথে রেলপথের অধিকাংশই যাবে গভীর সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে। প্রাকৃতিক দৃশ্য কি তাহলে অধরাই থেকে যাবে? মুখ খুললেন নর্থ ইস্ট ফ্রন্টইয়ার রেলওয়ের জনসংযোগ আধিকারিক।ভারতীয় রেলের মুকুটে বসতে চলেছে এক নয়া পালক। ইতিমধ্যেই সিকিমের প্রথম রেল স্টেশনের শিলান্যাস হয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর অগাস্ট মাসেই এই রেল প্রজেক্টের কাজ সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে। ফলে সিকিম বেড়ানো এখন আরও সহজ হয়ে যাবে পর্যটকদের কাছে। এবার থেকে আর নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে সিকিম যাওয়ার জন্য গাড়ি ধরতে হবে না। সোজা ট্রেনেই পৌঁছে যাওয়া যাবে রংপোতে।

    প্রজেক্ট ডিরেক্টর মহীন্দর সিং জানিয়েছেন, সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার পথে বিস্তৃত হবে এই রেললাইন। এর মধ্যে সাড়ে তিন কিলোমিটার সিকিমে এবং বাকি সাড়ে ৪১ কিলোমিটার পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে পড়ছে। এই প্রজেক্টের আওতায় সিকিমগামী রেলপথে পড়বে ১৪টি টানেল, ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ন'টি ছোট সেতু। ৬০-৬৫ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। ৮৬ শতাংশ পথে রয়েছে টানেল। পাঁচ শতাংশ সেতুর উপর দিয়ে যাবে। প্রজেক্টের সবচেয়ে দীর্ঘ টানেলটি ৫৩৮ মিটারের অর্থাৎ ৫.৩ কিলোমিটার পর্যন্ত। সর্বোচ্চ উচ্চতার ব্রিজটি ৮৫ মিটারের। সে ক্ষেত্রে রেলপথে সিকিম ভ্রমণকারী পর্যটকদের কাছে ট্রেনের জানলা নিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ বড্ড কম।

    এ প্রসঙ্গে NFR-এর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, 'আসলে এই পাহাড়ি পথ কেটে রেললাইন তৈরি করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। পাহাড়ি এলাকায় যেভাবে রাস্তা থাকে, রেললাইন তো সেভাবে তৈরি করা যায় না। যেভাবে ত্যাড়া-ব্যাঁকা রাস্তা দিয়ে দার্জিলিং যায় গাড়িগুলি, সেভাবে তো ট্রেন উঠতে পারবে না। উঁচু পাহাড়ি রাস্তায় তো ট্রেন উঠতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে টানেল কিংবা ব্রিজের প্রয়োজন হয়। সেবক থেকে রংপো স্টেশন পর্যন্ত রাস্তায় উঁচু পাহাড়ি এলাকায় সুড়ঙ্গ এবং নদী থাকলে সেতু, এটাই বেস্ট অপশন ছিল আমাদের কাছে। পর্যটকরা একফোটাও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন না তেমনটা নয়। যে পাঁচ শতাংশ পথে ট্রেনটি ব্রিজেপ উপর দিয়ে যাবে সেখান থেকে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। সেটাই বা কম কী!'
  • Link to this news (এই সময়)