ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে বিপত্তি। পান্ডুয়া লোকালের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে বিপত্তি হয়ে গেল বর্ধমান - হাওড়া ডাউন লাইনের ট্রেন চলাচল। পরে ট্রেনটিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাাওয়া হয় পান্ডুয়া স্টেশনে। ঘটনার জেরে ভরদুপুরে গরমের মধ্যে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েন যাত্রীরা। অন্যদিকে রেল গেট বন্ধ থাকায় গাড়ি চলাচলেও সমস্যা তৈরি হয়।জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে ডাউন পান্ডুয়া লোকাল পান্ডুয়া স্টেশন ছেড়ে বেরোনোর পর ১.৩৩ মিনিট নাগাদ জয়পুর রেল গেটে প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে দাঁড়িয়ে যায়। লোকালটি ক্রসিং-এ দাঁড়িয়ে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় রিভার্স লাইনের ট্রেন চলাচল। শুধু আপ লাইনে দিয়ে ট্রেনগুলি বর্ধমানের দিকে যেতে থাকে। খবর যায় রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। খবর পেয়েই তৎপর হয় রেল কর্তৃপক্ষ। দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় পর ট্রেনটিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পান্ডুয়া স্টেশনে।
এই বিষয়ে ডাউন পান্ডুয়া লোকালের গার্ড টি কে সামন্ত জানান, ১টা ৩৩ নাগাদ হয়েছে। প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে গিয়েছে। মোটর ম্যান বুঝতে পারে। কোনও একটি আওয়াজ পান। তারপরেই মোটরম্যান ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেন। খবর দেওয়া হয় পান্ডুয়ায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের কর্মীরা। দ্রুত ট্রেনটিকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পান্ডুয়া স্টেশনে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ডাউন লাইন দিয়ে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস পাস করানোর পর স্বাভাবিক হয় রেল চলাচল। এদিকে এই গরমে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নাজেহাল পরিস্থিতি তৈরি হয় যাত্রীদের। একদিকে যেমন গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়, অন্যদিকে প্রচণ্ড গরমে ট্রেনের মধ্যেই বসে থাকতে হয় তাঁদের। কেউ কেউ ট্রেন থেকে নেমে লাইন ধরেই হাঁটতে থাকেন। যাত্রীদের একাংশ রেল পরিষেবা নিয়ে তীব্র সমালোচনায় সরব হয়ে ওঠেন।
এর আগে গত জানুয়ারি মাসে, ব্রিজে প্যান্টোগ্রাফ আটকে গিয়ে বিপত্তিতে পড়ে সরাইঘাট এক্সপ্রেস। প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে থাকে ট্রেন। যার ফলে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। সাঁইথিয়া স্টেশনের কাছে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ট্রেনটিকে। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয় সরাইঘাট এক্সপ্রেস। ট্রেন দাঁড়িয়ে যাওযার ফলে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন যাত্রীরা। জানা যায় ঘটনার দিন সন্ধে ৭টা নাগাদ স্টেশনে ঢোকার সময় ব্রিজের সঙ্গে আটকে যায় ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফটি। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ সাঁইথিয়া স্টেশন ছাড়ে আপ সরাইঘাট এক্সপ্রেস।