ভোটের মাঝেই প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, রায়ের প্রভাব কি সরাসরি ভোটবাক্সে? কী বলছেন রাজনীতির কারবারিরা
এই সময় | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
দেশে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছ। তারই মাঝে এসএসসি মামলার রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রায়ে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রায়ে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছে উচ্চআদালত। আর তারপরেই রাজনৈতিকমহলের একাংশে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে একটাই প্রশ্ন, এই রায়ের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনও প্রভাব কি পড়তে পারে ভোটবাক্সে?কী বলছে রাজনৈতিকমহল?এই বিষয়ে প্রাক্তন বিচারপতি তথা বর্তমান বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'ভোটের সময় এই রায় প্রচণ্ড প্রভাব ফেলব।' তবে তৃণমূল প্রার্থী তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য তা মানতে নারাজ। এই রায়ের কোনও প্রভাব ভোটে পড়বে না বলেই মনে করেন তিনি। এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক শিবাজীপ্রতীম বসু বলেন, 'বিষয়টি অত্যন্ত জটিল, পুরো সিদ্ধান্তটা না জেনে কিছু বলতে পারছি না। ভোটে এটার প্রভাব ফেলানোর চেষ্টা নিশ্চয় হবে। তবে এটার আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চয় শেষ হয়ে যায়নি। এটা হাইকোর্টে হয়েছে, পরে হয়ত সুপ্রিম কোর্ট থাকতে পারে। এর নিশ্চয় একটা প্রভাব পড়বে, তবে সেটা কতটা, তা বুঝতে সময় লাগবে।'
রায়ের বিরুদ্ধে সরব মমতাএক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে এই রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর দিনাজপুরে একটি সভা থেকে তিনি বলেন, 'যাঁদের কথা বলা হয়েছে, যাঁদের চাকরি বাতিল করা হল, তাঁরা চিন্তা করবেন না, হতাশও হবেন না, কেউ কোনও জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। আমরা সবাই পাশে আছি, লড়াই যতদূর করার আমরা করব।'
শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গে নাম না করে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানাও করেন মমতা। তিনি সাফ বলেন, 'দেখলেন না একজনকে, বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়ে গেলেন। এটা তাঁরই অর্ডার ছিল। সুপ্রিম কোর্ট নতুন ডিভিশন বেঞ্চ করে আলোচনা করতে বলেছিল, কাকে নিয়ে নতুন ডিভিশন বেঞ্চ করবেন? বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে, সম্পূর্ণ রায়কেই আমরা চ্যালেঞ্জ করছি।'
সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে এসএসসিএদিকে ইতিমধ্যেই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, 'অনেকে চাকরি করছিলেন, সব নিয়োগ বাতিল, আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি।' সেক্ষেত্রে এবার দেখার শীর্ষ আদালতে চাকরিহারাদের ভবিষ্যৎ কী দাঁড়ায়।