• Global Warming Effect: গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের খেল, মনোরম আবহাওয়ার পর্যটন কেন্দ্রে বড়সড় হাওয়া বদল
    এই সময় | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • বদলে যাচ্ছে গোটা বিশ্বের পরিবেশ। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা আর কয়েক বছরের মধ্যেই আমূল বদলে যাবে সবটা। গরমের চোটে হাঁসফাঁস করতে হবে সবাইকে। এমনকি মনোরম পরিবেশেরলোবে যেসব দেশে পর্যটকরা ছুটে যান, বদলে যাবে সেই সব জায়গার চেহারাও।জলবাযু পরিবর্তনের সমস্যা বড় আকার ধারণ করেছে ইতিমধ্যেই। তবে তা আরও মারাত্মক হতে পারে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা ২১০০ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বের একাধিক পর্যটন কেন্দ্রের পরিবেশ একেবারে বদলে যাবে। সামগ্রিকভাবে যার প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বেই।

    উত্তোরোত্তর বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। যেসব দেশে এক সময় নামমাত্র গরম পড়ত সেখানেও এখন সূর্যের তেজ উপেক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই সমস্য আগামী দিনে কমবে তো নাই উল্টে আরো বাড়বে। এমনটাইমনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এই শতাব্দীর শেষের দিকে উত্তরের দেশগুলোকে আরও বেশি করে সূর্যের তাপ সহ্য করতে হবে। সেক্ষেত্রে শীতকালের আগে যে মনোরম পরিবেশ দেখা যেত, তা কার্যত উধাও হবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি এই নিয়েই এক বিশেষ গবেষণার আয়োজন করেছিল ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা।

    মোট ৫০ টি বিশেষ জায়গার জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়েই পরীক্ষা নিরীক্ষা চলেছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে ২১০০ সলের মধ্যে পুরোপুরি বদলাবে এইসব দেশের জলবায়ু।

    একদিকে রাশিয়া, কানাডা সহ উত্তরেরেৃ বেশকিছু দেশে এই আউটডোর ডের সংখ্যা বাড়ার ইঙ্গিত মিলেছে। অন্যদিকে আইভরি কোস্টসহ কিছু দেশে এই দিনের সংখ্যা রেকর্ড হারে কমছে। বিশে,ত গ্লোবাল সাউথ বা দক্ষিণের দেশগুলোই এই সমস্যা সবথেকে বেশি ভোগ করবে। স্বাভাবিকভাবেই বদলে যাবে পর্যটকদের পছন্দও।

    বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা মেক্সিকো, থাইল্যান্ড কিংবা ইজিপ্টের মতো দেশে আউটডোর ডে থাকবে নামমাত্র। তালিকায় রয়েছে ভারতের নামও। আবার একই কারণে আরবেরমতো দেশেও কমবে পর্যটকদের সংখ্যা। ফলে সমস্যায় পড়বেন সেইসব দেশের মানুষ।

    এমনিতেই জলবায়ুর সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে নজেহাল হচ্ছেন অনেকে। আগামী দিনে তা বাড়লে সমস্যাও বাড়বে।

    বিজ্ঞানীরা এর জন্য বিশে, একটি ব্যবস্থাো করেছেন। তাদের ওয়েবসাইটে গেলেই কোন দেশের কী অবস্থা হতে চেলেছে সেিতথ্য মিলবে বিস্তারিতভাবে। যদিও ভারতের মতো দেশে এই সমস্যা রীতিমতো বড়আকার ধারণ করবে তা আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েচেন বিজ্ঞানীরা। কাজেই রিবেশ ভাবনায় এখনও যদি খামতি থাকে তাহলে বিপদ আটকানোর কোনও রাস্তাই খোলা থাকবে না। পর্যটন শিল্প যেমন জৌলুস হারাবে তার থেকেও ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে সাধারণ মানুষের। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিজ্ঞানীরা।
  • Link to this news (এই সময়)