মিষ্টি না বিষ! জন্মদিনের কেকে মেশানো স্যাকারিনেই মৃত্যু সেই ১০ বছরের বালিকার
২৪ ঘন্টা | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত ২৪ মার্চ পঞ্জাবের পাতিয়ালায় ঘটে গিয়েছিল এক মর্মান্তিক ঘটনা। জন্মদিন পালনের জন্য পাতিয়ালার একটি বেকারি থেকে অর্ডার দিয়ে কেক আনায় ১০ বছরের বালিকা মানবীর পরিবার। সেই কেক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে গোটা পরিবার। আর শেষপর্যন্ত মৃত্যু হয়ে মানবীর। পুলিসে সেই কেক পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়েছিল। সেই রিপোর্ট এল এতদিন।
কী আছে সেই রিপোর্টে? পাতিয়ালার যে বেকারি থেকে কেকটি এসেছিলে সেই কেক-এ ছিল মাত্রারিক্ত আর্টিফিসিয়াল সুইটনার। জানা যাচ্ছে ওই কেক-এ ব্যবহার করা হয়েছিল অত্যাধিক মাত্রায় স্যাকারিন। এমনটাই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন জেলা হেলথ অফিসার ডা বিজয় জিন্দাল। সাধারণভাবে বেকারির খাবারে চিনির বদলে ব্যবহার করা হয়ে স্যাকরারিন। এখন এই স্যাকারিন কম মাত্রায় ব্যবহার করা হলে তাতে ক্ষতির কিছু নয়। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত স্যাকারিন ব্যবহার করা হলে তা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। এতে হতে পারে হাইপার গ্লাইসেমিয়া। সেই অতিরিক্ত স্যাকারিন দেওয়া কেক খেয়েই মৃত্যু হয়েছে মানবীর। ইতিমধ্যেই ওই বেকারির বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে পুলিস।উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ জন্মদিনে সন্ধে ৭টা নাগাদ বাড়ির লোকজনকে নিয়ে আনন্দ করে কেক কাটে মানবী। আর সেই কেক খাওয়ার পর গোটা পরিবার অসুস্থ হয়ে যায় রাত ১০টা নাগাদ। মানবীর দাদু হরবন লাল সংবাদমাধ্যমে বলেন, কেক খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ২ বোন বমি করতে থাকে। মানবী বলে খুব তেষ্টা পাচ্ছে, গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, জল দাও। জল খেয়েই সে লুটিয়ে পড়ে। বেহুঁশ হয়ে পড়ে।ওই ঘটনার পরপরই বাড়ির লোকজন মানবীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। ইসিজি করা হয়। কিন্তু কোনওভাবেই তাকে বাঁচানো যায়নি। পরিবারের দাবি 'কেক খানা' নামে যে বেকারি থেকে ওই কেক এসেছিলে তাতে কোনও বিষাক্ত জিনিস ছিল। পুলিস ঘটনার তদন্তে নামে। কেকের স্যাম্পল টেস্টের জন্য পাঠানো হয়।