• 'সংবিধানকে এড়িয়ে শূন্যপদ তৈরি অপরাধ', এসএসসি রায়ে হাইকোর্টের ১২ দফা পর্যবেক্ষণ!
    ২৪ ঘন্টা | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • অর্ণবাংশু নিয়োগী: এসএসসি মামলায় এদিন ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে পুরো প্যানেল ‘নাল আন্ড ভয়েড’। পুরো নিয়োগ বাতিল করা হল। চাকরি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ৪ মাসের মধ্যে সুদ সমেত টাকা ফেরত পাঠাতে হবে। পাশাপাশি, সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ-* যে পদ্ধতিতে এসএসসি ওএমআর শিট স্ক্যানিং এবং নষ্ট করার জন্য বন্ধ ঘরে নায়সা নামক সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল, সেই প্রক্রিয়াটি সংবিধান পরিপন্থী।

    * ওএমআর স্ক্যান করার আগে মিরর ইমেজ রাখার কথা বলা হলেও, এসএসসির সার্ভার রুম থেকে সিবিআই কোনও স্ক্যান মিরর ইমেজ খুঁজে পায়নি।

    * স্ক্যান মিরর ইমেজ রাখা ছাড়াই এসএসসি ওএমআর শিট নষ্ট করেছে।

    * অতিরিক্ত শূন্যপদের থেকে বেশি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল।

    * প্যানেলে নাম নেই, ফাঁকা ওএমআর জমা দিয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও এমন ব্যক্তিদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।

    * বেআইনি নিয়োগ প্রার্থীদের জায়গা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করার আবেদন করে এসএসসি।

    * হাইকোর্টের নির্দেশে বাগ কমিটির গঠিত রিপোর্টেও বেআইনি নিয়োগের প্রসঙ্গ রয়েছে। 

    * যদি কোনও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী বেআইনিভাবে নিয়োগ পেয়ে থাকেন তার প্রভাব গোটা প্রতিষ্ঠান একইসঙ্গে পড়ুয়াদের ওপর পড়বে।

    * তাই প্রতিষ্ঠান এবং পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে অনৈতিকভাবে নিয়োগ পাওয়াদের প্রতিষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া উচিত।* খুবই আশ্চর্যজনক সব জানার পরেও বেআইনি নিয়োগ ঠেকাতে রাজ্যের ক্যাবিনেটে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    * যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের সামনে আনা দরকার, যে তাদের হাত দিয়ে অনৈতিকভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে। 

    * যারা সংবিধানকে এড়িয়ে এহেন শূন্যপদ তৈরি করেছেন তারা অপরাধ করেছেন। তাদেরকে তদন্তের আওতায় আনা দরকার।২৩ লক্ষ মোট চাকরি পরীক্ষার্থী। ২০১৬ সালে ২৪,৬৪০ শূন্যপদে নিয়োগ এসএসসির। কিন্তু ২৫,৭৫৩টি নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়েছিল। অর্থাৎ শূন্যপদের থেকে ১১১৩ জনকে বাড়তি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। আর সেটাই এবার হাইকোর্টের কড়া নজরে। রাজ্যের কারা যুক্ত এই সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করায়, সেটা নিয়ে সিবিআইকে তদন্ত করতে হবে। নির্দেশ হাইকোর্টের। বেআইনি নিয়োগ আটকাতেই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল বলেই আদালতের পর্যবেক্ষণ। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে যে ওএমআর শিট নষ্ট করার আগে স্ক্যান কপি রাখা হয়নি।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)